চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণ
সবুজ প্রকৃতি আর মানুষের দূরত্ব বাড়ছে! একদিকে সবুজের ধ্বংস, অন্যদিকে প্রযুক্তির উন্নতি। যা ডেকে আনছে মারণ দূষণ। ফলাফল- বদলে যাওয়া চরম জলবায়ু। এতেও যে আত্মহত্যাপ্রবণ সভ্য মানুষের কিছু যায় আসে না, তা নতুন করে প্রমাণিত হল সম্প্রতি প্রকাশিত আমেরিকার একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে।
ওই রিপোর্ট বলছে, একাধিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণের ছক ছিল মার্কিন বিজ্ঞানীদের। যদিও সেই পরিকল্পনা মাঝপথে ভেস্তে যায়। কিন্তু চাঁদে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের কথা ভেবেছিল কেন বিজ্ঞানীরা?
আসলে এই মিশনটিও ছিল আমেরিকার মুন মিশনের অন্তর্গত। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয় অ্যাডভান্সড অ্যারোস্পেস থ্রেট আইডেন্টিফিকেশন প্রোগ্রাম (AATIP)। এমন কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছিল এই মিশনে যা প্রকৃত প্রস্তাবে অবিশ্বাস্য। বেশ কিছু আধুনিক প্রযুক্তির পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভাবনা ছিল প্রথমত।
যার অন্যতম ইনভিজিবিলিটি ক্লোক, অ্যান্টিগ্র্যাভিটি ডিভাইস, ট্রাভার্সেবল ওর্মহোলস এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চাঁদে টানেল তৈরি করা। এর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। যদিও বর্তমানে ওই মিশন নিষ্ক্রিয়। কিন্তু এই তথ্য কীভাবে প্রকাশ্যে এল?
আসলে ভারতের তথ্যের অধিকারের আইনের মতোই আমেরিকায় রয়েছে তথ্যের স্বাধীনতার আইন। এই আইনে এক প্রাক্তন সেনেট সদস্য ওই মিশনের বিষয়ে তথ্য জানতে চান।
এরপরেই সম্প্রতি অ্যাডভান্সড অ্যারোস্পেস থ্রেট আইডেন্টিফিকেশন প্রোগ্রামের তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে বলা হয়েছে, একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরীক্ষা নিরীক্ষার ভাবনা ছিল চাঁদের মাটিতে। যার অন্যতম পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চাঁদে টানেল তৈরি করা।
উল্লেখ্য, তথ্যের স্বাধীনতার আইনে ১৬০০ পৃষ্ঠার নথি প্রকাশ্যে এসেছে। যার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, অ্যাডভান্সড অ্যারোস্পেস থ্রেট আইডেন্টিফিকেশন প্রোগ্রাম একটি গোপন সংস্থা।
এদের সম্পর্কে প্রথম জানা যায় ২০১৭ সালে। ওই বছরে সংস্থার ডিরেক্টর পদত্যাগ করায় AATIP প্রকাশ্যে আসে। এখন প্রশ্ন উঠছে, চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণের মতো কাজ গোপনে কীভাবে পরিকল্পনা করে আমেরিকা। এর জন্য আন্তর্জাতিক অনুমতির প্রয়োজন। যদিও মিশন মাঝপথে ভেস্তে গেছে, তা না হলে কি জানিয়েই এমন কাজ করত মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক!