31 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ১২:১৪ | ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
বিশাল সমুদ্রের সন্ধান ভূপৃষ্ঠের নিচে
আন্তর্জাতিক পরিবেশ পরিবেশ বিজ্ঞান প্রাকৃতিক পরিবেশ

বিশাল সমুদ্রের সন্ধান ভূপৃষ্ঠের নিচে

বিশাল সমুদ্রের সন্ধান ভূপৃষ্ঠের নিচে

কিছু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও অর্জন বিশ্বকে বিমোহিত করেছে। বিশাল ব্ল্যাক হোল আবিষ্কার থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ফিউশন চুল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডের মতো বিস্ময়কর আবিষ্কার মানুষের মনকে অভিভূত করেছে। এবার আরেকটি বৈজ্ঞানিক খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজর কেড়েছে।

খবরটি হলো—ভূপৃষ্ঠের অতি গভীরে বিশাল সমুদ্রের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ৭০০ কিলোমিটার নিচে ‘রিংউডাইট’ নামে পাথরে এই পানি জমে আছে। ভূগর্ভস্থ এই জলাধার ধরিত্রীপৃষ্ঠের সব মহাসাগরের মিলিত আয়তনের প্রায় তিনগুণ।

২০১৪ সালের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রে এই সমুদ্রে সম্পর্কে বিশদভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘ডিহাইড্রেশন মেলটিং এট দ্য টপ অব দা লোয়ার ম্যান্টেল’ নামের শিরোনামের গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে রিংউডাইটের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে।

গবেষণার প্রধান সদস্য ভূ-পদার্থবিদ স্টিভ জ্যাকবসেন বলেন, ‘রিংউডাইট একটি স্পঞ্জের মতো, যা পানি শুষে রাখে। রিংউডাইটের স্ফটিক কাঠামোর মধ্যে বিশেষ কিছু রয়েছে যা হাইড্রোজেনকে আকর্ষণ করতে এবং পানি আটকে রাখতে সাহায্য করে।’



তিনি আরো বলেন, ‘অবশেষে আমরা পুরো পৃথিবীর পানিচক্রের প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি। এটি আমাদের বাসযোগ্য গ্রহের পৃষ্ঠে বিশাল পরিমাণ পানি থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করতে পারে। বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে এই অনুপস্থিত গভীর পানির সন্ধান করছিলেন।’

ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা করার সময় গবেষকরা দেখেন যে, সিসমোমিটারগুলো (ভূত্বকের কম্পন পরিমাপক যন্ত্র) পৃথিবীর পৃষ্ঠের নিচে শকওয়েভ বা ঘাততরঙ্গ শনাক্ত করছে। আর এভাবেই বিজ্ঞানীরা এই সমুদ্রের সন্ধান পান।

বিজ্ঞানীরা বলেন, পৃথিবীর ম্যান্টল (পৃথিবীর ভূত্বক ও গলিত লোহার কেন্দ্রের মধ্যে গরম, কঠিন শিলার পুরু স্তর) ট্রানজিশন জোনে খনিজগুলোর উচ্চ পানি সঞ্চয় ক্ষমতা (৪১০ থেকে ৬৬০ কিলোমিটার গভীর) রয়েছে যা একটি গভীর জলাধারের থাকার সম্ভাবনার আভাস দেয়। এর ফলে ডিহাইড্রেশন মেল্টিং প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

ডিহাইড্রেশন মেল্টিং হলো একটি ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যা পৃথিবীর আবরণের নির্দিষ্ট অঞ্চলে ঘটে, যেখানে হাইড্রেটেড খনিজগুলো উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপের শিকার হয়।

উচ্চ-চাপ পরীক্ষাগার পরীক্ষা, সংখ্যাসূচক মডেলিং এবং সিসমিক পি-টু-এস কনভার্সনের মাধ্যমে আমরা ট্রানজিশন জোন থেকে নিম্নমুখী মেন্টলে খনিজের প্রবাহের প্রভাবগুলো পরীক্ষা করেছি ৷

ট্রানজিশন জোনে গলিত দানাদার খনিজও খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এসব ফলাফল ট্রানজিশন জোনের একটি বৃহৎ অঞ্চলের পানি থাকার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। ডিহাইড্রেশন মেলটিং ট্রানজিশন জোনে পানিকে আটকাতে কাজ করতে পারে।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত