গ্রিনহাউস গ্যাস (Green House Gass) নিঃসরণে চীন সকল দেশগুলোকে ছাপিয়ে প্রথমে
বিশ্বের সব উন্নত দেশ একসঙ্গে যে ব্যাপক পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে তন্মধ্যে চীন একাই সবার চেয়ে বেশি গ্যাস নিঃসরণ করে বলে উঠে এসেছে সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদনে।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান রোডিয়াম গ্রুপের এই গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্বে নিঃসৃত গ্রিনহাউস গ্যাসের মোট ২৭ শতাংশ নিঃসরণ ঘটেছে শুধুমাত্র চীনেই।
তালিকায় চীনের ঠিক পরেই অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ১১ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ঘটিয়েছে। আর তারপরই তৃতীয় দেশ হচ্ছে ভারত। সেখানে ৬.৬০ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ঘটেছে।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সমঝোতায় না পৌঁছতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিপর্যয় ঠেকানো খুবই কঠিন হয়ে পড়বে।
রোডিয়াম গ্রুপ বলছে, গত ৩০ বছরে শুধুমাত্র চীনেই গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ৩গুণের বেশি বেড়েছে।
চীন বিশ্বের বৃহত্তম জনবহুল দেশ। সেই হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় মাথাপিছু হারে দেশটিতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ অনেক কম। তবে গবেষণা বলছে, চীনে মাথাপিছু গ্যাস নিঃসরণও বেড়ে গেছে।
২০৬০ সালের ভিতরে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে চীন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলনে চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।
চীন জ্বালানির জন্য প্রধানত কয়লার ওপর নির্ভরশীল। দেশটিতে মোট ১,০৫৮টি কয়লা জ্বালানি কারখানা আছে।
২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ১৯৭ টি দেশ বিশ্ব ঊষ্ণায়ন ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু দেশগুলো এখনও সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ তো করেইনি বরং পূরণের ধারেকাছেও নেই।
প্যারিস চুক্তিতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে চীন অবদান রাখবে বললেও বস্তুত চীনের অবদান একেবারেই পর্যাপ্ত নয়, বলছেন জলবায়ু বিষয়ক বিশ্লেষকরা।