জলবায়ু আন্দোলন ইস্যুতে রাজপথে শিক্ষার্থীরা
জলবায়ু পরিবর্তনে সুরক্ষা নিশ্চিতে বিশ্বের কোটি শিশু-কিশোর আর তরুণদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে রাজপথে নেমেছেন তরুণ শিক্ষার্থীরা।
জলবায়ু আন্দোলন ইস্যুতে ফ্রাইডে ফর ফিউচারের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে অংশ নিয়ে ক্লাইমেট জাস্টিসের ডাক দেন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক তরুণ জলবায়ুকর্মী।
মাত্র ১৫ বছর বয়সী সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গের জলবায়ু নিয়ে ২০১৮ সালের ক্লাইমেট প্রটেস্ট বর্তমানে ছড়িয়েছে বিশ্বের প্রতিটি কোনায়। জলবায়ু পরিবর্তনে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হওয়ায় সামাজিক এ আন্দোলনে শামিল হয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীরাও।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ক্লাইমেট জাস্টিসের দাবিতে মানববন্ধন করেন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্ল্যাকার্ডে তারা তুলে ধরেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে ঘটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো।
তারা বলছেন, সারা বিশ্বেই এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার আমাদের মূল থিমটা হচ্ছে, ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ। বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ততার দিক থেকে বিশ্বে সপ্তম। আর এ ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষ, প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর এটা একটা অন্যায়। ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের আয়োজিত র্যালিতে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা টেকসই ও জলবায়ুবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর মহাপরিকল্পনা তৈরির আহ্বান জানান।
জলবায়ু সতেচন এসব তরুণ কর্মী বলছেন, উন্নত দেশগুলো যেন তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি কমিয়ে আনে। নবায়ণযোগ্য জ্বালানির দিকে যেন তারা ধাবিত হয়। আর এ ছাড়াও আমাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
হাতের প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, জ্বালানি খাতের রূপান্তর, নবায়ণযোগ্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানির প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তরুণ জলবায়ুকর্মীরা।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশসহ দরিদ্র দেশগুলো যাতে ক্ষতিপূরণ পায়, সেইসঙ্গে জলবায়ুবান্ধব অবকাঠামো তৈরি, সচেতনতা তৈরি, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, কার্যকর তহবিল তৈরিতে বাংলাদেশকে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবিও জানান অংশগ্রহণকারীরা। শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচিতে এদিন একাত্মতা জানান বিদেশি জলবায়ু কর্মীরাও।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়ের প্রভাবে ইতোমধ্যে বিশ্ব মানবতার জন্য রেড অ্যালার্ট ঘোষণা করেছ জাতিসংঘ। একইসঙ্গে কার্বন নিঃসরণের শীর্ষ দেশগুলোকেও জীবাশ্ম জ্বালানির জলবায়ু বিধ্বংসী কার্যকলাপের দায় নেয়া ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরতি হওয়ার তাগিদ দিয়ে আসছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।