বর্তমানে দিল্লি চরম দূষণের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে । দিওয়ালির পর থেকেই ভারতের রাজধানী দিল্লির বাতাস দূষিত হয়ে গেছে।দুষণে মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নেওয়াই এখন কষ্টকর হয়ে ওঠেছে।যার কারনে দিল্লির হাসপাতালগুলোতে ফুসফুস ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
এদিকে, ভারতের নয়াদিল্লিতে বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ‘নাগরিক প্রতিবাদ’ করেছে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। বুধবার ইন্ডিয়া গেটের সামনে প্রতিবাদ জানান কয়েকশ মানুষ।
তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণ পরিস্থিতির অবনতি হলেও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার উভয়ই নিস্ক্রিয় ছিল। যত দ্রুত সম্ভব বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তারা।এদিকে, বায়ু দূষণ বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৯৯ হাজারটিরও বেশি জরিমানার ঘটনা ঘটেছে।
গতকয়েক দিন ধরেই বাতাসের গুণগত মানের সূচক (একিউআই) বিপজ্জনক থেকে অতি বিপজ্জনকের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে।কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, আনন্দ বিহারে একিউআই ছিল ৪৬৭, লোধি রোডে ৩৯২, অশোক বিহারে ৪৪৬, আর কে পুরমে ৩৯৯, জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ৪১৩, দিল্লি ইউনিভার্সিটি নর্থ ক্যাম্পাসে ৪৪৬।
প্রতি বছর দিওয়ালির পরই দিল্লির পরিবেশ বদলে যেতে শুরু করে। এক দিকে, আতসবাজির ধোঁয়া, তার উপর পার্শ্ববর্তী দুই রাজ্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় শস্যের গোড়া পোড়ানো- দুইয়ের মিশেলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাজধানী দিল্লি।প্রতিবছর এ অবস্থা মোবাবেলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় সরকারীভাবে। কিন্তু তাতে সুফল হয় না ততোটা।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও একই পরিস্থিতির শিকার রাজধানী দিল্লি। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর দূষণের মাত্রাটা অন্যান্য বারের তুলনায় অনেকটাই বেশি যা সবাই লক্ষ্য করছে। একিউআই ৯৯৯-তে পৌঁছেছে বেশ কয়েক জায়গায়।