39 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
বিকাল ৪:০৩ | ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
পরিবেশ বিপর্যয়ের শিকার পাকিস্তানের এক জেলে গোষ্ঠী
পরিবেশ রক্ষা

পরিবেশ বিপর্যয়ের শিকার পাকিস্তানের এক জেলে গোষ্ঠী

পরিবেশ বিপর্যয়ের শিকার পাকিস্তানের এক জেলে গোষ্ঠী

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পাকিস্তানের এক জেলে সম্প্রদায়ের প্রাচীন সংস্কৃতি আজ প্রায় বিপন্ন৷ মাছের অভাবে হ্রদের উপর ভাসমান এই গ্রামের ভবিষ্যৎ আজ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে৷



পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে মানচার হ্রদের উপর শুধু হাউসবোট নিয়ে মোহানা জেলে সম্প্রদায়ের ভাসমান গ্রাম৷ বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরেই মোহানারা নৌকার উপর বাসা বেঁধে থাকেন৷

কিন্তু সম্পতি মানচার হ্রদের ইকোসিস্টেমের অবনতির ফলে জেলেদের অর্থনৈতিক ক্ষতির মাত্রা অনেক বেড়ে চলেছে৷ ভাসমান গ্রামের বাসিন্দা হুসনা মাই বলেন. এখানেই আমার জন্ম এবং এখানেই বিয়ে হয়েছে৷

আমার সন্তানরাও এখানে বড় হয়েছে৷ আমার ৮ সন্তান৷ আমার স্বামী বধির, সেজন্য আমি তাঁর সঙ্গে মাছ ধরতে যাই৷ এক কিলো মাছ পেলে বিক্রি করে সন্তানদের জন্য রুটি ক্রয় করি৷

মনোরম সৌন্দর্যের জন্য কাশ্মীরের আরেক নাম ভূস্বর্গ৷ ভূস্বর্গের এক অংশ পাকিস্তানে৷ সেখানে গেলেও মুগ্ধই হতে হয়৷

নৌকার এই গ্রামে মৌলিক পরিষেবারও অনেক অভাব রয়েছে৷ এক ঘরের বোট হাউসে রান্নার জন্য ছোট এক চুলা রয়েছে৷ হ্রদের আশেপাশের ঝোপঝাড় থেকে চুলার জন্য কাঠ-খড়ি সংগ্রহ করতে হয়৷

চরম আবহাওয়ার কারণে কাঠের নৌকায় থাকা আরও কঠিন হয়ে উঠছে৷ ভাসমান গ্রামের বাসিন্দা খেরি মাই বলেন, ‘ঝড়বৃষ্টি হলে আমাদের শিশুরা এবং জিনিসপত্র ভিজে যায়৷ সে সময় রান্নাও করতে পারি না৷ তখন খালি পেটে তাদের দিন পার করতে হয়৷’

হুসনা মাই বলেন, যে হ্রদের পানি পান করার যোগ্য নয়৷ পরিষ্কার পানীয় জল কেনার সামর্থ্যও তাদের নেই৷ তিনি আরো বলেন, ‘শিশুদের ক্ষুধা কে সইতে পারে! কেউ নয়৷



পানি কিনলে শিশুদের জন্য খাবার কেনার মতো টাকা আর থাকবে না৷ ফলে বাধ্য হয়ে শিশুদের দূষিত পানি খেতে দিতে হয়৷ কাছাকাছি কোনো হাসপাতালও নেই, স্কুলও নেই৷ পানির কোনো ফিল্টারও নেই৷’

এককালে মানচার হ্রদ জীববৈচিত্র্যের জন্য বেশ বিখ্যাত ছিল৷ মানুষ, মাছ, জলজ উদ্ভিদ ও পাখি মিলেমিশে সেখানে বাস করতো৷ কিন্তু গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক এবং শিল্পক্ষেত্রের বর্জ্য হ্রদের পানি দূষিত করে তোলে৷

এমন দূষণের কারনে মাছের সংখ্যাও অনেক কমে গেছে৷ ফলে বাধ্য হয়ে মোহানাদের ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে৷ মাছ ব্যবসায়ী গুলাম আকবর বলেন, ‘পানি দূষিত হবার আগে প্রতিদিন ২০টি মাছ ভরা ডাটসান ট্রাক পাঠানো হতো৷ অর্থাৎ দিনে প্রায় ৩৭,০০০ কিলো মাছ ধরা হতো৷ এখন সেই পরিমাণ কমে ১,১০০ থেকে ১,৮০০ কিলো হয়েছে৷’

সিন্ধু নদীর পশ্চিমে প্রায় ২০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মানচার লেক অবস্থিত৷ সম্ভবত মোহেঞ্জোদারো সভ্যতার সময় থেকেই সেই হ্রদে বোট হাউসে বসবাসের ঐতিহ্য চলে আসছে৷

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত