ডিজিটাল ডেস্ক: বাংরাদেশ সহ গোটা বিশ্বে করোনা (Coronavirus) অতিমারী ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। ভারতের মহারাষ্ট্র-সহ অন্যান্য রাজ্যেও সংক্রমণের গতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এক ভয়াবহ সুপারবাগকে (Superbug) ঘিরে নতুন এক অতিমারীর আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
আগামিদিনে ‘ক্যানডিডা অরিস’ বা ‘সি অরিস’ নামের এই সুপারবাগ, যা এক ধরনের ছত্রাক, হয়ে উঠতে পারে ত্রাসের কারণ। সম্প্রতি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এদের সন্ধান পেয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অনুরাধা চৌধুরী।
‘এমবায়ো’ জার্নালে গবেষণাপত্রটি বিস্তারিত আকারে প্রকাশিত হয়েছে। আন্দামানের ৮টি বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাটি ও জলের প্রায় ৫০ রকমের নমুনা সংগ্রহ করে তা পর্যবেক্ষণ করেছেন অনুরাধা ও তাঁর দল।
দেখা গিয়েছে, সমুদ্রতটের বালি ও লবণাক্ত জলাভূমি অঞ্চলে ওই সুপারবাগের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা, বাজারে চলতি ছত্রাক-প্রতিরোধী ওষুধকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে সি অরিসের।
২০০৯ সালে জাপানে প্রথম দেখা মিলেছিল এই ছত্রাকের। গত বছর, কানাডার এক গবেষক দাবি করেন, ব্রিটেনে সি অরিসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। মূলত ডায়াবেটিসে ভোগা রোগীদের পায়ের আলসারের মধ্যে ওই ছত্রাকটি দেখা গিয়েছে। ভারতেও এই ধরনের ছত্রাক আগেই মিলেছে।
ওই গবেষক তাঁর রিপোর্টে দাবি করেন, যে রোগীরা এই ছত্রাকের দ্বারা আক্রান্ত হন তাঁরা কখনওই সংক্রমণ থেকে রেহাই পান না এবং আজকের বিশ্বে এর কোন চিকিৎসা বের হয়নি এখনও।
কী ধরনের লক্ষণ দেখা যায় এই ছত্রাকের দ্বারা সংক্রমিত হলে?
প্রাথমিক ভাবে কোনও লক্ষণ না থাকলেও পরে জ্বর ও শীতবোধ হতে থাকে। প্রথমে ত্বকে অবস্থান করলেও পরে ক্ষতমুখ দিয়ে মানবশরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে দৌরাত্ম্য শুরু করে সি অরিস।
বলতে গেলে করোনা ভাইরাস গোটা পৃথিবীকেই সচেতন করে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা লক্ষ রাখছেন, কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য কোন ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া থেকে অতিমারী হতে পারে সেদিকে।
সেই তালিকায় রয়েছে সি অরিসও। ‘হু’র আশঙ্কা, সংক্রমণ ছড়িয়ে গেলে বছরে এক কোটি ১০ লক্ষ বা তার থেকে অনেক বেশী মানুষকে মেরে ফেলতে পারে এই ছত্রাক।