জলবায়ু তহবিল পেতে সরকারের নতুন উদ্যোগ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এশিয়ার অন্যান্য দেশে একই ধরনের ক্ষতি হলেও তারা সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ (জিসিএফ) নানা আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা পায়।
কিন্তু সঠিকভাবে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করতে না পারায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারি–বেসরকারি সংস্থাগুলো যেন এসব প্রক্রিয়া যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে এবার সে উদ্যোগ নিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
এতে সরকারের শুধু একটি নির্দিষ্ট সংস্থাই জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তর্জাতিক তহবিল পাওয়ার জন্য কাজ করবে না। বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন এসব তহবিল চাইতে পারবে।
এ জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার প্রকল্প তৈরির সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এ কাজে সহযোগিতা করতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) একটি ক্লাইমেট চেঞ্জ ফাইন্যান্স সেল চালু হতে যাচ্ছে।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক–গবেষক ও বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে ইআরডি।
জার্মান সরকারের বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থা (জিআইজেড) এতে অর্থায়ন করছে। যুক্তরাজ্যের পরামর্শক সংস্থা ইকো এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সংস্থা সি–থ্রি আর যৌথভাবে প্রশিক্ষণ দেবে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির শুরুতে ইআরডির জাতিসংঘ উইংয়ের প্রধান কবির আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। তিনি বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়ক্ষতি ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসব সমস্যা সমাধানে সরকারি সংস্থাগুলোকে সবুজ জলবায়ু তহবিল–জিসিএফসহ নানা আন্তর্জাতিক তহবিল পাওয়ার জটিল প্রক্রিয়া রপ্ত করতে হবে।
ইআরডির যুগ্ম সচিব মাহবুব আলম বলেন, জিসিএফ হচ্ছে সবচেয়ে বড় জলবায়ু তহবিল। এটি পেতে হলে তাদের বেঁধে দেওয়া নিয়মগুলো বুঝতে হবে। তাঁদের দেওয়া সব শর্ত পূরণ করে তহবিল পাওয়ার পর তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করাও শিখতে হবে।
নন্দন মুখার্জি বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রভাব পড়ছে। কিন্তু সেই প্রভাব মোকাবিলা করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই। জিসিএফের তহবিল পেতে হলে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির মতো সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ জন্য সরকারের সবগুলো সংস্থাকে এ ধরনের প্রস্তাবনা তৈরির জন্য সক্ষম জনবল তৈরি করতে হবে।