কার্বন নিঃসরণ কমাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে ভারত
কপ-২৬ সম্মেলনের প্রধান লক্ষ্য ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রায় পিছিয়ে রয়েছে ভারত।
কারণ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
চীন ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়েছে। বেশি কার্বন নিঃসরণ হয়—এমন দেশের তালিকায় চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউর পরই ভারতের অবস্থান।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মোদি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের জ্বালানি চাহিদার অর্ধেক নবায়নযোগ্য শক্তির বিভিন্ন উৎস থেকে পূরণ করা হবে। ওই সময়ের মধ্যে ভারত ১০০ কোটি টন কম কার্বন নিঃসরণ করবে।
তবে জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের অন্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায় ভারতে মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণের হার অনেক কম। ২০১৯ সালে ভারতে যেখানে মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণের হার ছিল ১ দশমিক ৯ টন, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ছিল ১৫ দশমিক ১৫ এবং রাশিয়ায় ১২ দশমিক ৫ টন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গতকাল সোমবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় জাতিসংঘের ২৬তম জলবায়ু সম্মেলন অর্থাৎ কপ-২৬ শুরু হয়েছে। দুই সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনে বিশ্বের ১২০ জনের বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান জড়ো হয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছেন তাঁরা।
সম্মেলনের প্রথম দিন গতকাল জলবায়ু সংকট মোকাবিলার লক্ষ্য নিয়ে বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা বক্তব্য দেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।