আটলান্টিক মহাসাগরের ফরাসি উপকূলে লক্ষাধিক মৃত মাছ
আটলান্টিক মহাসাগরের ফরাসি উপকূলে লক্ষাধিক মৃত মাছ ভেসে উঠেছে। সি শেফার্ড নামে একটি বেসরকারি সংস্থা গত সোমবার তাঁদের টুইটার অ্যাকাউন্টে ঝাঁকে ঝাঁকে ভেসে ওঠা মৃত মাছের একটি ছবি শেয়ার করে। এরপরই ঘটনাটি তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে ফ্রান্স সরকার।
সি শেফার্ড ছবিটি শেয়ার করে টুইটে লিখেছে, ‘ঘটনাটি বিস্কে উপসাগরের লা রোশেল উপকূলের। যেখানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফ্যাক্টরি শিপ (যেসব জাহাজে বিপুল পরিমাণে সামুদ্রিক মাছ আহরণ করে প্রক্রিয়াজাত করা হয়) মারগিরিসসহ চারটি জাহাজ মাছ শিকার করছে।’ ভেসে ওঠা মৃত হালকা নীল-সাদা রঙের মাছগুলো সামুদ্রিক কড মাছের একটি উপ-প্রজাতি।
এই ঘটনার পর ফ্যাক্টরি শিপ মালিকদের প্রতিষ্ঠান পেলাজিক ফ্রিজ ট্রলার অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ) ঘটনাটির বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, আমরা বুঝতে পেরেছি এ ধরনের ছবি মানুষের মনে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
বিবৃতিতে সংগঠনটি আরও বলেছে, আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে, ৭ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে সামুদ্রিক কড ধরার সময় জাল ছিঁড়ে মারগিরিস জাহাজ থেকে অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রচুর পরিমাণে নীল-সাদা রঙের ওই মাছগুলো সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
এ ধরনের দুর্ঘটনাকে বিরল আখ্যা দিয়ে ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অপ্রত্যাশিতভাবে জালে বেশি মাছ ধরা পড়ার কারণে এটা ঘটেছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন অনুসারে, এই ঘটনা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জাহাজের লগ বইয়ে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং জাহাজটির মালিক রাষ্ট্র লিথুয়ানিয়াকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ফ্রান্সের মৎস্য ও সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রী অ্যানিক জিরার্দিন এই ঘটনাকে ‘বিপর্যয়কর’ আখ্যা দিয়ে এক টুইটে বলেছেন, ‘বিপুল পরিমাণ মৃত মাছের এই দৃশ্য অস্বস্তিকর এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করতে বলা হয়েছে। যাতে আমরা এই ঘটনার কারণগুলো শনাক্ত করতে পারি।’
ওই টুইটে জিরার্দিন আরও বলেন, ‘ফ্রান্স বৈধ উপায়ে মাছ ধরাকে সমর্থন করে। কিন্তু এই ঘটনায় ফ্রান্সের এই বিষয়টি আমলে আনা হয়নি। তাই এই ঘটনায় আইনের লঙ্ঘন ঘটলে দোষীদের চিহ্নিত করে দায়ী জাহাজ মালিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।’