প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় ইন্ধন কারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষ তদন্তে কেউ দায়ী হলে, কারো দায়িত্বে সামান্যতম অবহেলা চিহ্নিত হলে, দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা: পরিবেশমন্ত্রী
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বন্যপ্রাণী মারা যাওয়ায় বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক পরিদর্শনকালে এ সব কথা বলেন বনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাই কারও ইন্ধনে বা কোনো ব্যক্তির কারণে এ সব বন্যপ্রাণী মারা গিয়ে থাকলে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বনমন্ত্রী বলেন, এত কম সময়ের ব্যবধানে এত প্রাণীর মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্যক্তিগতভাবে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে সরেজমিনে সাফারি পার্ক পরিদর্শন করতে পারিনি।
কিন্তু ৯টি জেব্রার মৃত্যুর খবর জেনেই তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেই। সে মোতাবেক ২৬ জানুয়ারি পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিককে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই এর কারণ নির্ণয় করতে মৃতদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা ফলাফল বিশ্লেষণ করছেন। জেব্রাগুলোর এ ধরনের মৃত্যু প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ দেশের বাইরে অভিজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে। একাজে সিআইডি এবং মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে। তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ভেটেরিনারি অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।