উষ্ণতা রোধে সাহসী পদক্ষেপে বাঁচবে লাখো প্রাণ
জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন ঠেকাতে দ্রুততম সময়ে কার্বন নিঃসরণমুক্ত (নেট জিরো কার্বন) দেশে পরিণত হতে চায় যুক্তরাজ্য। ২০০৮ সালে প্রণীত জলবায়ু পরিবর্তন আইনে যুক্তরাজ্য ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ৮০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করে। ছবি: রয়টার্স
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ ও কার্বন নির্গমন ঠেকাতে দেশগুলো যদি সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারে, তাহলে ২০৪০ সাল নাগাদ লাখো মানুষের জীবন বাঁচতে পারে।
সম্প্রতি ল্যানসেট প্লানেটারি হেলথ জার্নালে এ বিষয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা ঠেকানোর নীতিমালা করা গেলে প্রতিবছর উন্নত খাবারের অভাবে মারা যাওয়া ৫৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচতে পারে। এ ছাড়া ২০৪০ সালের মধ্যে বিশুদ্ধ বাতাসে হাঁটাচলা করে ২৩ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ বাঁচতে পারে।
ধরিত্রী রক্ষার শপথে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়। ঐতিহাসিক এই চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির গড় হার দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে বা সম্ভব হলে দেড় ডিগ্রির মধ্যে রাখতে বিশ্বের দেশগুলো একমত হয়।
গত সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস নভেম্বরে জাতিসংঘের ‘সিওপি ২৬’ জলবায়ু সম্মেলন ঘিরে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নতুন গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করা গেলে সম্ভাব্য সুবিধাগুলো তুলে ধরে আরও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ব্রাজিল, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যকে মডেল ধরা হয়েছে। এ দেশগুলোতে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি লোকের বাস এবং দেশগুলো বৈশ্বিক ৭০ শতাংশ কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী।
সূত্র: প্রথম আলো