চীনের সিএফসি এখন পৃথিবীর ওজোন স্তরে ফাটল ধরাতে পারে এমন অশনি সংকেত গবেষকদের
ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও কাঠগড়ায় উঠেছে চিন (China)। একে তো করোনা অতিমারীর (Pandemic) উৎস হিসেবে নানা সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়েছে। এবার তার সঙ্গে জুড়ল নতুন অভিযোগ।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরে (ozone layer) আবার বড়সড় ফাটল ধরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর পিছনে রয়েছে ক্লোরোফ্লুরো কার্বন বা সিএফসি (CFC)। দেখা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পূর্ব চিনে সিএফসি’র রীতিমতো বেআইনি উৎপাদন চলছে পুরোদমে।
আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ওজোন স্তর নিয়ে যৌথ গবেষণা করেছেন। বিশ্বখ্যাত ‘নেচার’ পত্রিকায় এ সম্পর্কে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় বসানো দু’টি এয়ার মনিটরিং স্টেশনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এমনটা জানানো হয়েছে ওই গবেষণাপত্রে। ওই গবেষণাপত্রে দেখানো হয়েছে, চিন তাদের বেআইনি উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সময়ে সিএফসির নিঃসরণ কীভাবে কমে গিয়েছে।
যার ফলে ওজোন স্তরের ক্ষতি অনেকটাই মেরামত হয়ে যেতে দেখা যায়। অন্যতম গবেষক রোনাল্ড প্রিন সতর্ক করে জানিয়েছেন, যদি সিএফসির নিঃসরণ বাড়ে কিংবা যা রয়েছে তা থাকলেও আগামী দিনে এর ফলে বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
ওজোন স্তর পৃথিবীর উপরে একটি ছাদের মতো। এই স্তরে ফাটল ধরলে তার ভিতর দিয়ে বিপজ্জনক অতিবেগুনি রশ্মি ঢুকে পড়তে পারে।
এই রশ্মি পৃথিবীর জীবজগতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। মানুষের ত্বকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে এই রশ্মির প্রভাবে। যে সব উপাদানারে কারণে ওজোন স্তরে ফাটল ধরতে পারে তার অন্যতম ক্লোরোফ্লুরোকার্বন।
গবেষকদের আশা, আগেভাগে ব্যবস্থা নিলে এই বিপদ এড়ানো সম্ভব। চিন যাতে সিএফসির উৎপাদন বন্ধ রাখে সেদিকে নজর রাখবে রাষ্ট্রসংঘ। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে ওজোন স্তরের যেটুকু ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত করা সম্ভব হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।