পরিবেশের স্বাস্থ্যরক্ষায় ব্যর্থ ভারত
কোভিড নয়, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহামারী হল দূষণ। এমনটাই মনে করেন পরিবেশবিদরা। কয়েকদিন আগেই একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল ২০১৯ সালে ভারতে প্রায় ২৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে দূষণের কবলে পড়ে।
এবার পরিবেশের স্বাস্থ্যরক্ষার প্রশ্নেও মুখ পুড়ল মোদি সরকারের। এনভায়রনমেন্টাল পারফরম্যান্স ইনডেক্স-২০২২ অনুযায়ী, ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান সবার শেষে। যদিও এই তালিকাকে অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। তাদের মতে বর্তমান সমীক্ষাটি অবৈজ্ঞানিক।
সম্প্রতি এনভায়রনমেন্টাল পারফরম্যান্স ইনডেক্স-২০২২ এর তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। ইয়েল সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল ল অ্যান্ড পলিসি এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে সমীক্ষাটি প্রকাশ করে। তাতেই পরিবেশের স্বাস্থ্যরক্ষার বিচারে তালিকায় ভারতের স্থান হয়েছে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৮০-তে। ওই তালিকা অনুযায়ী ভারতের আগে রয়েছে পাকিস্তান, এমনকী বাংলাদেশও।
জানা গিয়েছে, পরিবেশের স্বাস্থ্যরক্ষায় দেশগুলির মান নির্ধারণে ১১টি বিষয়ের ৪০টি সূচক ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন, জলবায়ু পরিবর্তন, বাস্তুতন্ত্র ইত্যাদি। সেই বিচারেই ভারতের স্থান হয়েছে সবার শেষে।
যা মানতে চায়নি কেন্দ্র। কেন্দ্রের বক্তব্য, সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ও অনুমানের উপর নির্ভর করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
দেশের পরিবেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, সমীক্ষায় যে সমস্ত সূচকের ব্যবহার করা হয়েছে, এবং তা যেভাবে কাজে লাগানো হয়েছে তা অবৈজ্ঞানিক ও অনুমান নির্ভর।
যদিও ইয়েল সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল ল অ্যান্ড পলিসি এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা সবুজ সংরক্ষণে ভারতের ব্যর্থতার কথাই উল্লেখ করেছেন। দূষণ, বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়েও ভারতের গাফিলতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।
পরিবেশ রক্ষায় গাফিলতির কথা কেন্দ্র মানতে না চাইলেও দিল্লি-সহ ভারতের একাধিক শহর যে দূষণে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে রয়েছে, তা একাধিক সমীক্ষাতে উঠে এসেছিল। ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালের তথ্য অনুযায়ী দূষণের জন্য ২০১৯ সালে যে ২৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভারতে, এদের মধ্যে কেবল বায়ুদূষণের বলি হন ১৬ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ।