বিশ্বের সবচেয়ে বায়ুদূষণের মধ্যে বাস করে ঢাকার বাসিন্দারা
দুই বছর আগে শুরু হওয়া করোনা মহামারি শেষ হয়নি। করোনায় মৃত্যু কমেছে, সংক্রমণের ব্যাপকতাও হ্রাস পেয়েছে। তবে মহামারি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে, এমন ঘোষণা কেউ দিচ্ছেন না।
এরই মধ্যে গত মাসে দুটি বৈশ্বিক প্রতিবেদন বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের তথ্য দিয়েছে। একটি প্রতিবেদন বলছে, দুই কোটির বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত রাজধানী ঢাকায় শব্দদূষণ বিশ্বের যেকোনো শহর বা মহানগরের চেয়ে বেশি। অপর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বায়ুদূষণের মধ্যে বাস করে ঢাকার বাসিন্দারা।
মহামারি ও দূষণের মধ্যে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়াজনিত রোগের প্রকোপ। ডায়রিয়ায় শুধু যে রাজধানী বা তার আশপাশ এলাকার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, এমন নয়। দেশের ৬৪ জেলার সরকারি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে।
এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মূল বার্তা হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষিত থাকলে মানুষ ভালো থাকবে। তারা এ–ও বলছে, এমন একটি কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যেন প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে।
প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় পরিবেশ বিপর্যয়গত কারণে। যেসব কারণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব এককভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি।
জলবায়ুর সংকট আসলে স্বাস্থ্যসংকট। কিছু রাজনৈতিক, সামাজিক ও বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত জলবায়ু ও স্বাস্থ্যসংকট তৈরি করছে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মূল বার্তা হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষিত থাকলে মানুষ ভালো থাকবে।
তারা এ–ও বলছে, এমন একটি কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যেন প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে।