আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস
বন উজাড়, প্রাকৃতিক কারণে গাছের মৃত্যু ও জোয়ারের উচ্চতায় প্লাবনভূমি বেড়ে যাওয়ায় বিপদে আছে দক্ষিণ উপকূলের বন্য প্রাণী। আবাসস্থল ও খাদ্যসংকটে প্রায়ই এসব বনের প্রাণী লোকালয়ে এসে মারা পড়ছে। এ অবস্থায় আজ ৩ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস।
গত বছরের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট উচ্চ জোয়ারের পানিতে সুন্দরবন ও দক্ষিণ উপকূলের বিভিন্ন বনাঞ্চলে প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সুন্দরবনে তিনটি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে লোকালয়সংলগ্ন বলেশ্বর নদ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি হরিণের পেটে বাচ্চাও ছিল। শুধু সুন্দরবন নয়, পাথরঘাটার হরিণঘাটা, রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ, নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপসহ উপকূলের সংরক্ষিত বন থেকে অনেক হরিণ জোয়ারের তোড়ে লোকালয়ে চলে এসেছিল।
শুধু হরিণ নয়, প্রকৃতির বৈরী আচরণ ও বন উজাড়ের ফলে অন্য বন্য প্রাণীও সংকটে পড়েছে। খাদ্যসংকট ও নিরাপত্তার অভাবে অভয়ারণ্য ছেড়ে প্রাণীগুলো প্রায়ই চলে আসছে লোকালয়ে।
অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে বন্য প্রাণীর। অতি উচ্চতার জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় বনের ভেতরে প্রাণীদের আশ্রয়ের জন্য উঁচু ঢিবি তৈরি করার পাশাপাশি মিঠাপানি ও খাবারের সংস্থান বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ এম এ আজিজ বলেন, বনকে বনের মতো থাকতে দিতে হবে। এটা প্রথম ও শেষ কথা।
মানুষের মতো বন্য প্রাণীরও কিছু মৌলিক চাহিদা ও প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো আবাস ও খাবার। মানুষ আবাস হারালে যেমন উদ্বাস্তু হয়, বন্য প্রাণীরাও তেমনি। বন্য প্রাণীদের ব্যাপারে উদাসীনতার সুযোগ নেই। এগুলো রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে।