শুধু আইন দিয়ে পরিবেশ রক্ষা করা যাবে না, সচেতন হতে হবে জনগণকে
যেখানে-সেখানে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠায় হবিগঞ্জের কৃষিজমি, নদী, খাল, বিল ও হাওর রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। দূষণে চারদিক ছেয়ে গেছে। শুধু আইন দিয়ে শিল্পের দূষণ থেকে পরিবেশ রক্ষা করা যাবে না। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর টাউন হল মিলনায়তনে ‘হবিগঞ্জে শিল্পদূষণ থেকে নদ-নদী ও জলাশয় রক্ষাবিষয়ক’ আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন বাপা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি সুলতানা কামাল। প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের উন্নয়ন গবেষণা বিভাগের প্রধান ও পরিবেশবাদী নজরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হবিগঞ্জের গ্যাস ও বিদ্যুৎব্যবস্থা জেলার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেশের বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান এ জেলার কৃষিজমি কিনে শিল্পকারখানা গড়ে তুলছে।
আমরা এ শিল্পের বিরুদ্ধে নয়, তবে শিল্প গড়ে উঠবে নির্দিষ্ট স্থানে। যেখানে-সেখানে শিল্প গড়ে ওঠায় এ জেলার কৃষিজমি হারাতে বসেছে।’
জেলার সুতাং নদীতে শিল্পকারখানাগুলোর দূষণের সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, দূষণ থেকে এলাকার নদী, হাওর, বিল রক্ষা করতে হলে শিল্পকারখানাগুলোর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
দূষণের বিরুদ্ধে জনগণকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের এ আন্দোলনে জনপ্রতিনিধিরা সম্পৃক্ত না হলে ধরে নিতে হবে তাঁরা জনগণের পাশে নেই।
সুলতানা কামাল বলেন, আইন দিয়ে শুধু পরিবেশ রক্ষা করা যায় না। পরিবেশ রক্ষা করতে এলাকার জনগণকে সচেতন হতে হবে। হয়তো ৫-৬ জন মানুষ পরিবেশ দূষণ করছেন।
কিন্তু এর বিপরীতে যদি ৫০০ মানুষ নীরব থাকে তাহলে পুরো সমাজ শক্তিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে কাজ করতে হবে।