জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকির প্রথম সারিতে তরুণরা
তরুণ প্রজন্মের জীবন, জীবিকা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য সামাজিক-অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে জলবায়ু পরিবর্তন। এ সংকট নিরসনে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার সাথে জলবায়ু আলোচনায় তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ওয়েবিনার ‘ক্লাইমেট জাস্টিস: ক্যাপচারিং ইয়ুথ ভয়েস ফ্রম গ্লোবাল সাউথ ইন দ্যা কনটেক্স অব প্যানডেমিক’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ২০২১ এসব মন্তব্য করেন বক্তারা। বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া ও ইউরোপ থেকে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
শুরুতে ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এবং একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ পরিষদের সদস্য রেবেকা সুলতানা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
সাংসদ নাহিম রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু বিষয়ে আইনগত কাঠামো রয়েছে। আমাদের এটা মানতে হবে জলবায়ু পরিবর্তন একটি মানবসৃষ্ট পরিস্থিতি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এখন ঝুঁকির মুখে যার জন্য দায়ী আমরাই।
প্যারিস চুক্তি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে আমাদের তরুণদের কণ্ঠ অবশ্যই শুনতে হবে যাতে তাদের চিন্তাগুলো আন্তর্জাতিক ফোরামে পৌঁছে দেওয়া যায়।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর (আইসিসিসিএডি) পরিচালক ও বাংলাদেশি জলবায়ু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সালিমুল হক বলেন, জলবায়ু সমস্যা সমাধানে অ্যাডভোকেসির চেয়ে বেশি জরুরি সরাসরি কাজ করা ও উদ্যোগী হওয়া। কপ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা না থাকা জলবায়ু সংকট নিরসনে তেমন প্রভাব ফেলবে না।
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ তাদের সমগ্র জনগোষ্ঠিকে টিকা দিতে সক্ষম হয়নি। অন্যদিক জনসংখ্যার অধিকাংশ যারা টিকা দেয়নি তারা তরুণ। বয়স এবং অন্যান্য অনেক বাধার কারণে এটি হয়নি যা দুঃখজনক।
পরবর্তীতে ‘ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশ’সংস্থার জলবায়ু কর্মী সায়লা সবনম রিচি করোনা মহামারীতে তরুণ প্রজন্মের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
তার মতে, করোনা মহামারীর প্রেক্ষাপটে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি একদিকে যেমন ব্যহত হয় তেমনি যৌন, প্রজনন, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়গুলোর উপরও ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে