25 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
ভোর ৫:৩৭ | ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
ভয়াবহ দূষণে তিন প্রমত্তা নদী
পরিবেশ দূষণ

ভয়াবহ দূষণে তিন প্রমত্তা নদী

ভয়াবহ দূষণে তিন প্রমত্তা নদী

বাংলাদেশে ৫৬টি নদীর দূষণের মাত্রা পরীক্ষা করতে গিয়ে সবকটি অতিমাত্রায় দূষিত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এরমধ্যে গাজীপুরের লবণদহ, নরসিংদীর হাঁড়িধোয়া ও হবিগঞ্জের সুতাং এই তিনটি নদীর অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ।

এই নদীগুলোয় সহনীয় মাত্রার চেয়ে তুলনামূলক বেশি দূষণের অস্তিত্ব পেয়েছেন গবেষকরা।

রিভার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি) গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের ৫৬টি নদীর গুণগত মান বিশ্লেষণ করে গত ১৩ই এপ্রিল এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সেখানে দূষণের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যত্রতত্র প্লাস্টিকের ব্যবহারকে। অপর দুই বড় কারণ হল: নদী তীরবর্তী শিল্প কারখানাগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকা, সেইসাথে পৌরসভাগুলোর ময়লা ফেলার জন্য নদীকে বেছে নেয়া।



গবেষণায় যে তিনটি নদীকে সবচেয়ে দূষিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এরমধ্যে ‘লবণদহ’ নদী এর ব্যাপ্তির কারণে আগে লবলং সাগর হিসেবে পরিচিত ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই নদীর উৎপত্তি হয়েছে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ক্ষীরু নদীর সংযোগস্থল থেকে। সেখান থেকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ওপর দিয়ে মির্জাপুরের কাছে তুরাগ নদীতে গিয়ে মিশেছে।

আরডিআরসির গবেষকরা এই নদীর তীরে ২৫০টি কারখানা পেয়েছেন। যার সবগুলোর কেমিক‍্যাল বর্জ্য সেইসাথে শ্রীপুর পৌরসভার সব বর্জ্য পড়ছে এই নদীতে। শ্রীপুর অংশে প্রায় ৩০ কিলোমিটারজুড়ে চলছে এই দূষণ।

ফলে একসময়কার প্রমত্তা নদী দখল ও ভরাট হতে হতে বর্তমানে খাল বা নালায় রূপ নিয়েছে। মাছসহ জলজ জীব বেঁচে থাকার পরিবেশ হারিয়েছে। একই অবস্থা হাঁড়িধোয়া নদীর।

এই নদীর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিম ও শিবপুর উপজেলার পশ্চিম-উত্তর শীতলক্ষ্যা নদীর কোণ থেকে। এরপর প্রায় ৬০-৭০ কিলোমিটার আঁকাবাঁকা হয়ে নদীটি জেলা শহরের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে এসে মেঘনা নদীর মোহনায় মিলিত হয়েছে।

এক সময় এই নদী কৃষিকাজ ও মাছ ধরার উৎস হলেও এখন তা শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে সম্পূর্ণ ব্যবহার-অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে সবচেয়ে করুণ অবস্থা সুতাং নদীর।



বাংলাদেশ-ভারতের আন্তঃসীমান্ত নদীটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হবিগঞ্জে প্রবেশ করে ৮২ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে আছে। এক সময়কার এই খরস্রোতা নদী এতোটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যা দুই দশক আগের বুড়িগঙ্গার কথা মনে করিয়ে দেয়।

এর কারণ হিসেবে আরডিআরসি বলছে, সুতাং নদীর তীরে বেশ কয়েকটি টাইলস, ডাইয়িং, রাসায়নিক ও ব্যাটারি কারাখানা গড়ে উঠেছে। এতে নদীর পানি আলকাতরার চেয়েও কালো ও থকথকে হয়ে পড়েছে। ফলে এটি নদী নাকি নালা – তা বোঝার উপায় নেই।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত