বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি মানুষ এক মাস পানি সঙ্কটে ভোগেন: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে মাত্রাতিরিক্ত পানির ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জল সঙ্কটের “আসন্ন ঝুঁকি” সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ভ্যাম্পায়ারের মতো জলের ব্যবহার এবং লাগামহীন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জেরে বিশ্ব এখন অন্ধভাবে এক বিপজ্জনক পথে হাঁটছে।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলছেন, ‘টেকসই নয় এমনভাবে জলের ব্যবহার, দূষণ এবং লাগামহীন উষ্ণায়ণের জেরে পানি যা কিনা বিশ্ব মানবতার প্রাণশক্তি, তা দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।
ইউএন ওয়াটার অ্যান্ড ইউনেস্কোর প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ব্যবহার এবং দূষণের কারণে পানির দুষ্প্রাপ্যতা প্রকট হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে, বিশ্বের উষ্ণায়ণের ফলে যেখানে প্রচুর জল পাওয়া যায় এবং যেখানে জল সঙ্কট রয়েছে, এই দুই জায়গাতেই কোন কোন মৌসুমে পানির ঘাটতি বেড়ে যাবে।
প্রতিবেদনটি প্রধান রচয়িতা রিচার্ড কনর বলছেন, ‘বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ১০% “বর্তমানে এমন এলাকায় বসবাস করে যেখানে জলের চাহিদা খুব উঁচু কিংবা জল সঙ্কটের চাপ প্রবল।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বের সাড়ে ৩০০ কোটি মানুষ এখন বছরে অন্তত এক মাস পানির ঘাটতির মধ্যে থাকেন।’
আইপিসিসি বিশেষজ্ঞ প্যানেল সোমবার জাতিসংঘের যে সাম্প্রতিকতম জলবায়ু প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সেই প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ‘বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষ বছরের অন্তত কোন একটি সময়ে জলের তীব্র সঙ্কটের মুখোমুখি হন।’
‘আমরা যদি এটির সমাধান না করি তবে অবশ্যই বিশ্বব্যাপী সংকট দেখা দেবে,’ তিনি বলেন।
জাতিসংঘের উপ মহাসচিব উষা রাও মোনারি, যিনি জাতিসংঘের এই জল সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক আয়োজক, তিনি বলেছেন যে ভবিষ্যতে আরও যত্ন নিয়ে পানি সম্পদকে ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে।
আমি মনে করি আমাদেরকে আগের চেয়ে নতুন গভার্নেন্স মডেল, নতুন ফিনান্স মডেল, পানি ব্যবহার এবং পানি পুনঃব্যবহারের জন্য নতুন মডেল খুঁজে বের করতে হবে।
“আমি মনে করি জলের ব্যবহার কীভাবে পরিচালনা করা হবে তা নির্ধারণের জন্য প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী শক্তি অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে।’