পরিবেশ বাঁচাতে হলে বন রক্ষার ছাড়া কোন বিকল্প নেই
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, পরিবেশকে বাঁচাতে হলে বন রক্ষার কোন বিকল্প নেই। এজন্য সবার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। যারা বনের জমি অবৈধভাবে দখল করে শিল্প-কারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে তা অবশ্যই উচ্ছেদ করতে হবে।
তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে হবে যারা ছোট ছোট ঘর নির্মাণ করে আছে সেখান থেকে নয়, বরং যারা বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা ও হাইরাইজিং বিল্ডিং নির্মাণ করে আছে সেখান থেকে। কিন্তু যারা গরিব- বনের জমিতে কুঁড়েঘর তৈরী করে বসবাস করছে তাদের বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ না করার পরামর্শ দেন তিনি।
কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গাজীপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘বনের জমির অবৈধ দখল মুক্তকরণ, পরিবেশ দূষণ এবং নদী দখল ও দূষণ রোধকল্পে’ বিশেষ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৮৭ সালে বনের গেজেট হয়েছে। বন বিভাগের জমির সাথে ব্যক্তিগত জমির সীমানা জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। দেখা যায়- সিএসএ বন বিভাগের নামে, কিন্তু এসএ রেকর্ড ব্যক্তির নামে, আবার এসএ, আরএসএ একটি জমির অর্ধেক বন বিভাগের নামে বাকি অর্ধেক ব্যক্তির নামে এই ধরনের বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে। এসব জটিলতা সমাধানের জন্য সবার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে নদী দখল করে আছেন তাদেরকেও উচ্ছেদ করা হবে। বর্তমান সরকার কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। যারা অপরাধ করবে, দখল করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও বেশিরভাগ কারখানার কোনো ইটিপি প্লান নেই। যা আছে সেতা বন্ধ করে রাখা হয়। যার কারণে কারখানার দূষিত তরল বর্জ্য নদী-নালা, খাল-বিলে পড়ে পানি প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। এসব বিষয়ে নজর দেয়া দরকার। এখানে বিভিন্ন শিল্প-কারখানার প্রতিনিধিরা আছেন। আপনারা প্রতিটি কারখানায় ইটিপি প্লান চালু রাখুন। যাতে নদী-নালা ও খাল-বিলের পানি দূষিত না হয়।
গাজীপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালিয়াকৈর উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়র যুগ্ম-সচিব আব্দুর রাজ্জাক, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ইউছুফ, বন সংরক্ষক আরএফএম মুনিরুল ইসলাম, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন্য প্রাণী) কাজল তালুকদার, সহকারী বন সংরক্ষক সাজেদুল ইসলাম, কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম, কালিয়াকৈর চন্দ্রা ফরেস্ট চেকপোস্টের রেঞ্জার মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে গাজীপুর জেলা পরিবেশ অধিদফতর ও নদী কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।