দোলাইরপাড় পুকুর ভরাটে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
রাজধানীর দোলাইরপাড়ে পুকুর ভরাট ও সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ (এসটিএস) প্রকল্পের কার্যক্রমের ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
দোলাইরপাড় পুকুর রক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) রিটটি করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
বেলা জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শ্যামপুর পুলিশ স্টেশনের অন্তর্ভুক্ত ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের জনবসতিপূর্ণ এলাকা দোলাইরপাড়ের জুরাইন মৌজায় পুকুরটি অবস্থিত।
প্রায় চার একর আয়তনের পুকুরটি ভরাট করে সম্প্রতি দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এসটিএস নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এরই মধ্যে পুকুরের এক–তৃতীয়াংশ ভরাট করা হয়েছে।
আবাসিক এই এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার লোকের বসবাস। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত পানির নিষ্কাশন ও অগ্নিনির্বাপণকাজে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে পুকুরটি।
পুকুরটি ভরাট ও এসটিএস নির্মাণ প্রকল্পের কার্যক্রমের ওপর আদালতের তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ আলী বলেন, পুকুরটি ভরাট থেকে রক্ষা, পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে পুকুরটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা–ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ ১০ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।