জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশের ক্ষতি না করেও জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম সারির ভুক্তভোগী বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। মঙ্গলবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এ জন্য বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ইস্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গবেষণা ও জ্ঞান ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌগোলিক অবস্থানজনিত কারণে এখানে গবেষণার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে পরিবেশবিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রথম দিন ছিল আজ মঙ্গলবার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে বিশ্ব কতটা চিন্তিত সেটা বুঝতেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সম্মেলন। এটি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বার্তা যে আমাদের পরিবেশ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।’
বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, ‘বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে আসছে। এসব দুর্যোগের কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হচ্ছে, আয়তন কমে আসছে।
প্রতিবছর ২-৪টি দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবন উপকূলীয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। সুন্দরবন না থাকলে এ উপকূলে মানব বসতি ও জীবনযাপন সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে ভাবতে পরিবেশবিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসতে হবে।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাহমুদ হোসেন। প্লিনারি স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত।
এ ছাড়া সম্মেলনে বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী, অধ্যাপক দিলীপ কুমার দত্ত।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্মেলনে খ্যাতনামা পরিবেশবিদ অধ্যাপক আলী রেজা খান ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইডেনসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানীরা সশরীর এবং ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে ৬টি কি-নোট পেপার এবং ১২৫টি গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপিত হবে।