31 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ১১:৫৪ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের ভূমিকা বাড়ানোর তাগিদ আইসিসিবির (ICCB)
জলবায়ু

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের ভূমিকা বাড়ানোর তাগিদ আইসিসিবির (ICCB)

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের ভূমিকা বাড়ানোর তাগিদ আইসিসিবির (ICCB)

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের ভূমিকা বাড়ানোর তাগিদ আইসিসিবির (ICCB)। সারা বিশ্বেই এখন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা।

খরা এবং বন্যার প্রকোপে প্রতিবছরই বহু মানুষ জীবন হারাচ্ছে ও ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এসব কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি হচ্ছে। সেই সঙ্গে কমছে তাদের উন্নত জীবন গড়ার সম্ভাবনা।

এই পরিস্থিতিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ভূমিকা বাড়ানোর কথা বলেছে তারা।

আইসিসিবি বলেছে, এসব প্রতিশ্রুতি এখনো জাতিসংঘের প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে অনেক দূরে। জলবায়ু অ্যাকশন ট্র্যাকার অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এখন পর্যন্ত যত অঙ্গীকার করা হয়েছে, তার সব বাস্তবায়িত হলেও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার শতাব্দীর শেষের দিকে আনুমানিক ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।



জলবায়ু সম্মেলন ও জি-৭ বৈঠকে জলবায়ু পবির্তনের প্রভাব প্রশমন ও জলবায়ু খাতে অর্থায়নের জন্য বর্ধিত প্রতিশ্রুতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি)।

সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদ বুলেটিনের সম্পাদকীয়তে আইসিসিবি বলেছে, এসব প্রতিশ্রুতি এখনো জাতিসংঘের প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে অনেক দূরে। জলবায়ু অ্যাকশন ট্র্যাকার অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এখন পর্যন্ত যত অঙ্গীকার করা হয়েছে, তার সব বাস্তবায়িত হলেও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার শতাব্দীর শেষের দিকে আনুমানিক ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

প্যারিস চুক্তি অনুসারে, শতাব্দীর শেষে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা আদর্শিকভাবে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে যথেষ্ট নয়।

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) অনুমান, কেবল উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজন ব্যয় ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ২৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ু কার্যক্রমে সহায়তা করার লক্ষ্যে এক দশকের বেশি সময় আগে উন্নত দেশগুলো যৌথভাবে ২০২০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে জাতিসংঘের মতে, ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না (২০১৮ সালের সর্বশেষ তথ্যানুসারে ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), যদিও জলবায়ু অর্থায়ন বাড়ছে।

জাতিসংঘের মতে, জলবায়ু অর্থায়নের জন্য বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি মানদণ্ড নয়। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) অনুমান, কেবল উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজন ব্যয় ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ২৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে। অর্থাৎ, অর্থায়নে বড় ঘাটতি থেকে যাবে।



আইসিসিবি বলছে, এমএসএমইগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তি। বৈশ্বিক ব্যবসায় তাদের হিস্যা ৯০ শতাংশ। বহু দেশে প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান তারা করে। তবু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রক্রিয়ায় তাদের কণ্ঠস্বর ও উপস্থিতি শক্তিশালী নয়।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, আইসিসি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক। তারা বিশ্বাস করে, ইউএনএফসিসিসি ও প্যারিস চুক্তি সম্পাদনকারী দেশগুলোর জলবায়ু নীতি কৌশলের সুযোগ এবং বাস্তবায়ন পুনর্বিবেচনা করে প্রতিটি বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা মূল্যায়ন করা উচিত।

এমএসএমইগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তি। বৈশ্বিক ব্যবসায় তাদের হিস্যা ৯০ শতাংশ। বহু দেশে প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান তারা করে। তবু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রক্রিয়ায় তাদের কণ্ঠস্বর ও উপস্থিতি শক্তিশালী নয়।

সম্পাদকীয়তে প্রস্তাব করা হয়, সরকার এমএসএমইগুলোকে জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে এসএমইগুলোকে উৎসাহিত করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্রতিটি দেশের যে অঙ্গীকার, তা বাস্তবায়নে এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো অবদান রাখবে। মহামারির সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় ইউএনএফসিসির অভ্যন্তরে পরিসর গড়ে তোলা হোক, বিশেষ করে এমএসএমই খাতের জন্য।

বেসরকারি খাতের প্ল্যাটফর্ম আইসিসিবি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে বাস্তবভিত্তিক সংলাপেরও ব্যবস্থা করতে পারে।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত