28 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সকাল ৬:৫০ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
চার মাসে ক্ষতি ২২ কোটি টাকা রাঙামাটিতে পর্যটন শিল্পে
পরিবেশগত অর্থনীতি

চার মাসে ক্ষতি ২২ কোটি টাকা রাঙামাটিতে পর্যটন শিল্পে

চার মাসে ক্ষতি ২২ কোটি টাকা রাঙামাটিতে পর্যটন শিল্পে

মহামারি করোনাভাইরাস (Covid-19) এর প্রকোপে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এর থেকে বাদ যায়নি দেশের পার্বত্য এলাকার পর্যটন শিল্প। দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ।

এতে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন ব্যবসায় জড়িতরা। গত চার মাসে রাঙামাটিতে হোটেল-মোটেল, বিনোদন কেন্দ্র, পর্যটন কেন্দ্র ও ট্যুরিস্ট বোর্ডসহ বিভিন্ন খাতে প্র্রায় ২২ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।



তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকশূন্য রাঙামাটি। কোনও আয় নেই। পর্যটন কেন্দ্র একদমই ফাঁকা। দিন যত যাচ্ছে লোকসানও তত বাড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাধ্য হয়ে কর্মচারীদের বেতনও বন্ধ করে দিতে হতে পারে।

১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ সৃষ্টির পর হ্রদকে পর্যটনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নানা পরিকল্পনা হাতে নেয় সরকার। এর ফলে ১৯৮৩ সালে দুই পাহাড়ের মাঝে ঝুলন্ত সেতু তৈরি করে যাত্রা শুরু হয় পর্যটন করপোরেশনের।

বর্ষার এই মৌসুমে ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণায় মুখোর থাকে পাহাড়ের জনপদ। শহরের যান্ত্রিকতা ছেড়ে অনেকে ছুটে আসেন পাহাড়-হ্রদে ঘেরা মনোরম প্রকৃতির লীলাভূমি পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে। এখানে রয়েছে সাজেক ভ্যালি, কাপ্তাই লেক, ঝুলন্ত সেতু, পলওয়েল পার্ক, আরণ্যক ও সুবলং ঝর্ণা।

রাঙামাটি পর্যটন ঘাটের ট্যুরিস্ট বোর্ড ইজারাদার মো. রমজান আলী বলেন, গত বছর থেকে বোর্ড মালিক ও চালকরা খুবই করুন জীবনযাপন করছেন। মাঝে কিছুদিন পর্যটক আসলেও এ বছরের ১ মে থেকে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র আবারও বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।

আমাদের ঘাটে প্রায় শতাধিক বোর্ড রয়েছে। পর্যটক থাকলে প্রতি বোর্ডে মাসে প্রায় দুই লাখ টাকার মতো আয় হতো। তাহলে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত হিসাব করলে প্রায় আট কোটি টাকা লোকসান হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এছাড়া বিভিন্ন ঘাটে আরও দুই শতাধিক ট্যুরিস্ট বোর্ড রয়েছে।

রাঙামাটি আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ইমতিয়াজ সিদ্দিক (আসাদ) জানান, এভাবে চলতে থাকলে ঋণের কারণে হোটেল বন্ধ করে দিতে হবে। শহরে হোটেল আছে শতাধিক।



সরকার যেভাবে পরিবহনগুলোকে অর্ধেক সিট খালি রেখে চলাচলার সুযোগ দেয়, সেভাবে আমরাও চালিয়ে নিতে চাই। সবমিলিয়ে হোটেল-মোটেলে ক্ষতি প্রায় পাঁচ কোটি টাকার।

পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্র শহরের পলওয়েল পার্কে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে। কাপ্তাই লেকের পাশে এটার অবস্থান। ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে এখানে একটি ‘লা‌ভ পয়েন্ট’ রয়েছে, যা দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা ভিড় করেন।

পলওয়েল পার্ক সূত্র জানায়, প্রতি শুক্রবার ও বন্ধের দিনে পর্যটকদের ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি। প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা আয় হতো। সেই হিসাবে বন্ধ থাকায় গত চার মাসে আট থেকে নয় কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কারণ প্রতি মাসে অফিস স্টাফদের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণে যে খরচ হচ্ছে, তা চালানোর সামর্থ্য আমাদের নেই।

পরিস্থিতি ভালো থাকার সময় প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মতো আয় হতো। কোনও কোনও মাসে আরও বেশি হতো। সরকারের কাছে দাবি, অর্ধেক সিট খালি রেখে পর্যটক আসার ও রাখার ব্যবস্থা করে দিক।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত