আলোচনার পরে আশানুরূপ ফল দেয়নি দুবাই জলবায়ু সম্মেলন
কোন একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে এখনো দুবাইয়ে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন কনফারেন্স অব পার্টিজ বা কপ-২৮ চলছে। চুক্তির বিষয়বস্তু নিয়ে অংশ নেয়া দেশগুলো একমত না হওয়ায় আলোচনা বাড়তি সময়ে গড়িয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এই সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার কোন কারণ নেই।
এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বিশ্বের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক মন্দার এক পটভূমির মধ্যেই এই জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে এর প্রতি দৃষ্টি কম ছিল। একই সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রুখতে তৈরি করা তহবিলগুলোতে দিন দিন অর্থ সংস্থান কমে যাওয়ার কারণে এর থেকে খুব বেশি প্রত্যাশাও ছিল না।
উপকূল ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যদি আশা করি, খুব বেশি লাভ হবে না।
আমাদেরকে নিজেদের পয়সা দিয়েই ডেল্টা প্ল্যান বলেন, নিজেদের সুরক্ষা বলেন, আমাদেরকেই করতে হবে। তার সাথে তো ইকোনমিক ক্রাইসিস আছেই। তাই আমরা কিন্তু সামনের দিনগুলোতে ভয়াবহ একটা জটিল পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছি।’
অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর বলেন, ‘কপ-২৮ লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ডে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণের সুখবর দিয়ে শুরু হলেও, টানা দুই সপ্তাহ ধরে নানা আলোচনার পরে আশানুরূপ ফল দেয়নি।’
দুবাইতে বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিয়ে নানা বিতর্কের পর সব দেশের মতৈক্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তিতে সম্মত হওয়াটা কঠিন হয়ে পড়েছে।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর বিষয়টি খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত না থাকার কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলো খসড়ার সমালোচনা করেছে।
সবার আশা ছিল যে, কয়লা, তেল ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের বিষয়ে সম্মতির শুরু হয়তো এখান থেকেই হবে। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে চুক্তির ভাষাতে এগুলো স্থান পায়নি।