পাঁচ গুণ হারে গলেছে গ্রিনল্যান্ডের হিমবাহ
বিশ্ব উষ্ণায়নের অভিশাপ। উত্তাপ বাড়ছে হিমবাহের, হু হ করে গলছে বরফ। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান আরও উদ্বেগজনক।
বছরে ২৫ মিটার করে কমছে হিমবাহের বহর। ২০ বছর আগেও এই সংখ্যাটা ছিল ৫ থেকে ৬ মিটার, গত দু’দশকে পাঁচ গুণ হারে গতি বেড়েছে। কারণ একমাত্র বিশ্ব উষ্ণায়ন।
কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, উষ্ণায়ন এবং দূষণবৃদ্ধির জেরে গোটা বিশ্বেই হিমবাহ গলছে। কিন্তু গলনের হার সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই আমজনতার। আর এখানেই দরকার বিশষেজ্ঞদের সমীক্ষা, যা প্রকাশ্যে আসায় উদ্বেগ বাড়ল।
তবে গ্রিনল্যান্ডের বিষয়টি বিশেষ উদ্বেগের। কারণ, এই এলাকায় যে বিপুল পরিমাণ বরফের স্তর রয়েছে, তা যদি সম্পূর্ণ গলে যায়, সমুদ্রের জলরাশি অন্তত ২০ ফুট (৬ মিটার) বৃদ্ধি পাবে। গ্রিনল্যান্ড এলাকায় অন্তত ২২,০০০টি হিমবাহ রয়েছে।
গলনের হার খতিয়ে দেখে কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞান বিভাগ এবং ন্যাচারাল সায়েন্স ম্যানেজমেন্টের সহকারী অধ্যাপক এন্ডার্স অ্যাঙ্কর জর্কের বক্তব্য,
‘উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে ভূ-প্রাকৃতিক নানাবিধ পরিবর্তনের যে সম্পর্ক রয়েছে, তা খুব স্পষ্ট। সেই সমস্ত পরিবর্তনেরই সাক্ষী থাকছি আমি। বিশেষ করে হিমবাহের গলনের হার খুবই দ্রুত।’
আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা জরগান এইভিন্দ ওলেসেনের দাবি, ‘আমরা এই গলন বন্ধ করতে পারি না, তবে রুখে দিতে পারি কিছুটা হলেও। তবে তার জন্য বাতাসে গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ অনেকটা কমিয়ে আনতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গ্রিনল্যান্ডে বরফের স্তূপের গলনে ২০০৬ সাল থেকে শুরু করে ২০১৮ পর্যন্ত, সমুদ্রের জলতল বেড়েছে অন্তত ১৭.৩ শতাংশ। আর হিমবাহের গলনের ফলে তা বেড়েছে ২১ শতাংশ।