পটুয়াখালীতে বন বিভাগের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা স্থাপনা
কলাপাড়া, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুরে বন বিভাগের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা স্থাপনা। ইতিমধ্যে আরসিসি পিলার ঢালাই সম্পন্ন করা হয়েছে মেসার্স এ আর ফিসের মাছের আড়তের।
বন বিভাগের সরকারি এ জমি উদ্ধারের জন্য মহিপুর রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা উক্ত থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও জেলা বন কর্মকর্তা বিভাগীর বন কর্মকর্তার বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তারপরও বন বিভাগের ঐ জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে,তবে যদিও দখলদার রাসেল আকনের দাবি তিনি এ জমি ডিসিআর নিয়েছেন।
বন বিভাগের দাবি, কলাপাড়ার মহিপুর রেঞ্জের কুয়াকাটা বিট অফিসের আওতাধীন হাল-জেএল নং-৫৫ শিববাড়িয়া মৌজার বিএস খতিয়ান নং-চার, বিএস ৪০৪৪ নং দাগের ১৬ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখল করে মো. রাসেল আকন, মোসাঃ রাহিমা, মনিরা বেগম ও সোহাগ আকন দখল করে ”এ আর ফিস” নামে একটি মাছের আড়ত ও চায়ের দোকান নির্মাণ করে।
বর্তমানে উক্ত এ আর ফিসের মালিকগন ওই দখল করা জায়গায় আরসিসি ঢালাই দিয়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণকাজ শুরু করেছে। মহিপুর বন বিভাগের কর্মীরা জমি দখলে বাঁধা প্রদান করলে তাদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শণ করা হয়। মহিপুর থানায় দায়ের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) তে মহিপুর রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম মো. ইছা সকল বিষয় আলোকপাত করেন।
কর্মকর্তা আবুল কালাম মো. ইছা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) তে বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বন বিভাগের ১৬ শতক জায়গা দখল মুক্ত করতে দখলদার এ আর ফিসের মালিকদের নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু দখলদাররা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। এমনকি নির্মাণাধীন বাউন্ডারির মধ্যে এখন নদীর তীর ঘেষে পাকা স্থাপনা নির্মান শুরু করেছে। এ দখলের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি), মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জেলা বন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করেছেন।
স্থানীয়দের দাবি, এর আগেও সরকারি সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। বন বিভাগের জমি এখন সমন্বিতভাবে দখল উচ্ছেদের ব্যবস্থা না নিলে এভাবেই দখল হতে থাকবে সরকারি সম্পত্তি। কেননা বন বিভাগের একার পক্ষে এ জমি উদ্ধার করা সম্ভব না।
এ ব্যাপারে জানতে গেলে এ আর ফিসের মালিক রাসেল আকন জানান, তিনি এ জমি ডিসিআর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন। তারা ডিসিআর নেয়া জমিতে স্থাপনা নির্মান করেছে। এখন বন বিভাগ ওই জমি তাদের বলে দাবি করছে। কলাপাড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, ও জমি ভূমি প্রশাসন নাকি বন বিভাগের সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সূত্র – বিসিএন