দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা রক্ষায় ‘ড্রেজিং মাস্টার প্ল্যান’ এর আওতায় ১৭৮টি নদী খনন করা হবে। খননে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ চলাচলের উপযোগী করা হবে বলে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান।গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপথের খনন কাজ শুরু করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ অর্থায়নে দুই দেশের নৌ-প্রটোকলভুক্ত ৪৭০ কিলোমিটার নৌপথের খনন কাজ শুরু হয়েছে। এর আওতায় কালনি-কুশিয়ারা নদীর আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ নৌপথের ২৮৫ কি.মি ও যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ-দৈখাওয়া নৌপথের ১৮৫ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে।
সরকারি দলের সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্ষাকালে বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নদী পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪ হাজার কি.মি.। যা শুষ্ক মৌসুমে তা ৬ হাজার কি.মি. এ কমে আসে। তাই নৌযান যাতে বাধাহীনভাবে চলাচল করতে পারে সে জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটের জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের ৩৯টি নৌযান নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় যাতায়াত ব্যবস্থা দ্রুত ও সহজতর করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হভার ক্র্যাফ্ট সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলে সমুদ্রগামী ছয়টি বড় জাহাজ ক্রয় করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে দুটি ক্রুড অয়েল মাদার ট্যাঙ্কার, দুটি মাদার প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার ও কয়লা পরিবহন উপযোগী দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার। এ ছাড়া সমুদ্রগামী আরও ৪টি নতুন সেলুলার কন্টেইনার জাহাজ কেনার পরিকল্পনা আছে।