জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা কারণে শহরে বাড়ছে মানুষের চাপ
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ২৬ শতাংশ মানুষ পান করছে উচ্চ লবণাক্ত পানি। এমনকি ভূগর্ভস্থ থেকে উত্তোলিত পানিতেও বাড়ছে লবণাক্ততার পরিমাণ।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা কারণে উপকূলীয় এলাকায় কাজের অভাব দেখা দেওয়ায় শহরমুখী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাদের অধিকাংশেরই জায়গা হয়েছে রাজধানীর বস্তিগুলোতে। সেখানেও নিরাপদ খাবার ও পানি সংকটে ভুগছেন ঘরছাড়া মানুষ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য জানান।
এ সময় ‘পলিসি স্কোপ অ্যান্ড গ্যাপ: ক্লাইমেট রিজিলিয়েন্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়। গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিআরডির রিসার্স অ্যাসিস্ট্যান্ট এলমি তাবাসুম।
এ সময় সিপিআরডির নির্বাহীপ্রধান মো. শামছুদ্দোহার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী আমিনুর রসুল, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, সিপিআরডির রিসার্চ অফিসার শাহানুল ইসলাম ও সাংবাদিক নিখিল ভদ্র।
প্রবন্ধে বলা হয়, ২০২১ সালে দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৩৯ শতাংশ শহরাঞ্চলে বসবাস করে। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা অন্যতম। ২০১৮ সালে দেশের শহুরে জনসংখ্যার প্রায় ৫৫ শতাংশ বস্তিতে বসবাস করত।
সারাদেশে ৫১৬টি নগর কেন্দ্রের জলাধারগুলোয় পানির মান ব্যবহার অযোগ্য এবং সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। মৌলিক সুযোগ-সুবিধা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব এবং সাশ্রয়ী মূল্যে থাকার গুরুতর সমস্যায় রয়েছে পরিবারগুলো। শহরে বসবাসরতদের ২৮ শতাংশ স্থায়ী ভবনে বসবাস করে। বাকিরা আধা স্থায়ী ও অস্থায়ী বাড়িতে বসবাস করে।
সিপিআরডির নির্বাহীপ্রধান মো. শামছুদ্দোহা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মানুষের শহরকেন্দ্রিক হওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। কিন্তু শহরে এসে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিতে হচ্ছে তারা।
তাই উন্নয়নের ক্ষেত্রে শহরের চেয়ে তৃণমূল ও গ্রামাঞ্চলে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে জোর দিতে হবে।