পরিবেশ ও প্রতিবেশ নিয়ে আয়োজিত শিল্প প্রদর্শনী মেলা
চট্টগ্রামের খুলশীতে অবস্থিত চিত্রভাষা গ্যালারিতে বিপন্ন পরিবেশ ও প্রতিবেশ নিয়ে আয়োজিত নানা মাধ্যমের শিল্প প্রদর্শনী দর্শকের মধ্যে প্রশ্ন উসকে দেবে।
চোখ বন্ধ রাখলেও পরিবর্তনশীল জলবায়ুর প্রভাব এড়িয়ে যাওয়া যে সম্ভব নয়, শিল্পীদের এই প্রয়াস এমন অনুভূতিতে আচ্ছন্ন করে দর্শককে। ‘বিপন্ন জল, মাটি, বায়ু, আগুন,গোটা পৃথিবী’ স্লোগান উপজীব্য করে সোমবার বিকেলে প্রদর্শনী শুরু হয়। বৃহস্পতিবার তিন দিনের এই প্রদর্শনীর শেষ দিন।
চিত্রভাষা গ্যালারি ও শিল্প সংগঠন একান্ন যোগের এই যৌথ শিল্পপ্রয়াসে অংশ নিয়েছেন জয়া বড়ুয়া, ফজলে রাব্বি, নুসরাত শাওন, রনি জাবালি, রাজীব দত্ত, পঙ্কজ চৌধুরী, আসমা বীথি, রাসেল চৌধুরী, তানবীর সারওয়ার, দেবাশীষ মজুমদার ও মইনুল আলম।
এই ১১ জন শিল্পী আলোকচিত্র, ভিডিও আর্ট, স্থাপনা, পেইন্টিং ও শব্দশিল্পে কাজ করেছেন। কক্সবাজার সৈকতে পড়ে থাকা মরা গাছের গুঁড়ি, প্লাস্টিক, পলিথিনসহ অপচনশীল বস্তু তাঁদের শিল্পকর্মগুলোতে ব্যবহৃত হয়েছে।
প্রদর্শনীর মূল উপজীব্য জলবায়ু পরিবর্তন। গত ১০ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত একটি মাল্টিমিডিয়া আর্টক্যাম্পে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা।
সৈকত ও সমুদ্রের প্রাণবৈচিত্র্যের নানা সম্পর্কসূত্রের নিবিড় পাঠ নিয়েছেন। আর সৈকত থেকে সংগ্রাহকেরা নানা উপাদান দিয়ে সাজিয়েছেন এই প্রদর্শনী।
সোমবার প্রদর্শনীর উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাস্কর অলক রায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোডেকের কর্মকর্তা কমল সেনগুপ্ত।
উপস্থিত ছিলেন বিস্তার আর্ট কমপ্লেক্সের কর্ণধার আলম খোরশেদ, পরিবেশ সংগঠন গ্রিন ফিঙ্গারের স্বত্বাধিকারী রিতু পারভীনসহ শিল্পসাহিত্য শিল্পবোদ্ধা ও রসিকজন।
ভাস্কর অলক রায় বলেন, ‘শিল্পীরা কেবল ভাবাতে পারে। আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক মহলে রাজনীতিবিদদের উপস্থিতি দেখি, কিন্তু মাঠপর্যায়ে তাঁদের দেখা মেলে না। যদি আমরা সত্যিই পরিবর্তন চাই, তাহলে মাঠে নামতে হবে।’
একান্ন যোগের পক্ষ থেকে পঙ্কজ চৌধুরী বলেন, ‘প্রদর্শনীটি শুরুতে আমরা কক্সবাজারে আর্টক্যাম্প করি। সেখানে বড় পরিসরে অনেক শিল্পকর্ম উপস্থাপন করা হয়েছিল।
এখানে স্বল্প পরিসরে বেশ কিছু চিত্রকর্ম বাদ পড়েছে। চট্টগ্রামের দর্শকদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্যই এই আয়োজন।’