পাহাড় ধসের আশঙ্কায় বন্ধ করা হল সেই সড়ক
চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামি লিংক রোড তৈরী করার সময় খাড়া করে পাহাড় কাটা হয়েছিল। যার ফলে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাহাড়ের কিছু অংশ ধসে পড়েছে।
বর্ষায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় চট্টগ্রামের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডে যান চলাচল আগামী ৩ মাসের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। সড়কের বায়েজিদ বোস্তামিমুখী লেনটিতেও যান চলাচল বন্ধ করে দেয় সড়কটির নির্মাণকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
এর আগে ফৌজদারহাটমুখী লেনটি বন্ধ করা হয়েছিল। এখন সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলো।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট অংশ থেকে নগরীর বায়েজিদ পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটি নির্মাণে প্রায় আঠারোটি পাহাড় কাটা হয়। পাহাড়গুলো খাড়াভাবে কাটায় সেগুলো ধসে বড় বিপর্যয়ের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইচ্ছেমতো কাটায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো, এখন আবার কাটা হবে। ৬ জুন বন্দর নগরীতে প্রবল ভারি বর্ষণের পর সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সিডিএ।
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ৩ মাসের জন্য সড়কটি বন্ধ করা হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরের দিকে সড়কে যান চলাচল শুরু হলেও পুরো কাজ শেষ হয়নি, এমনকি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও হয়নি।
প্রকৌশলী হাসান বলেন, এখানকার ১৮টি পাহাড়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি পাহাড় এবং কিছু অংশ আছে। সড়কটি চালু করার পর থেকে এটি পর্যটন স্পট হয়ে গিয়েছিল। একপাশ বন্ধ করা হলেও আর ঝুঁকি নিতে চাইনি, তাই পুরো রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে যাতে কোনো রকম দুর্ঘটনা না ঘটে।
তিনি আরো জানান, সড়কে ওভার ব্রিজসহ অল্প কিছু নির্মাণ কাজ বাকি আছে। খাড়া পাহাড়ের ঝুঁকি কমাতে কোন অংশ কাটতে হবে তা চিহ্নিত করেছেন তারা।
কতটুকু অংশ কাটব সেটা বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনের পর পরিবেশ অধিদপ্তরকে ড্রইং ডিজাইনসহ লিখিতভাবে জমা দেয়া হবে। পাহাড়ের রিটেইনিং ওয়ালের কাজও বাকি রয়েছে। সব কাজ আমরা তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে চাই।
এই সড়কটির কাজ শেষে পুরোপুরি ভাবে চালু হলে কাপ্তাই, রাঙামাটি, হাটহাজারী, রাউজান এবং রাঙ্গুনিয়া থেকে আসা যানবাহন নগরীতে প্রবেশ না সরাসরি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উঠতে পারবে।