এবছর বর্ষা আসার আগেই বর্ষার আগমনী বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে বর্ষা। যদিও বাংলা মাস আষাঢ় থেকেই ধরা হয় বর্ষাকাল। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে আবহাওয়াবিদদেরা বর্ষাকালের হিসাব করেন দেশে মৌসুমি বায়ুর আগমনের ওপর। সেই হিসেবে বর্ষার সেই মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটেছে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই। এবার আষাঢ় মাস এসে গেল এক প্রকার লুকোচুরির মধ্যেই। অন্যান্য বছর বর্ষাবরণ করার জন্য বিভিন্ন আয়োজন করা হয় কিন্তু এবছর তা আর হলো না যেমন হয়নি বৈশাখেও। কারণ সারা বিশ্বের মতোবাংলাদেশও করোনায় আক্রান্ত।
এবার বর্ষা আসার আগে প্রকৃতি ছিলো রৌদ্রময়। এদিকে সম্পূর্ণ জ্যৈষ্ঠ মাসজুড়েই বৃষ্টি ঝরেছে। ভারী বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখীও হেনেছে ছোবল। জ্যৈষ্ঠের প্রথমার্ধে ছিল প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পানের’ তাণ্ডব। তাই বর্ষাকাল বহু আগে থেকেই এবার তার আগমনী বার্তা দিয়ে রেখেছিল।
পঞ্জিকার হিসাবে আজ পয়লা আষাঢ় হলেও আবহাওয়াবিদদেরা বর্ষাকালের হিসাব করেন দেশে মৌসুমি বায়ুর আগমনের ওপর। সেই হিসাবে এবার মৌসুমি বায়ু দেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করেছে জুনের প্রথম সপ্তাহে। বাংলাদেশের টেকনাফ উপকূলে মৌসুমি বায়ু এবার এসেছে ৭ জুন। বর্তমানে এটি সারা দেশে বিস্তৃত হয়েছে। এর প্রভাবে দুদিন আগে দেশের প্রায় সব জায়গায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববার বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা কমে আসে। এই ধারা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কিন্তু আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার বর্ষার বেশে বৃষ্টি ঝরার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবার বর্ষাকালের চরিত্র কেমন হবে, তা বুঝতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা। আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, এবার বর্ষার আগমনের আগে প্রকৃতির রূপ একটু অন্য রকম। কয়েক বছর ধরে বর্ষাকালের আগমনী বার্তা দিচ্ছিল না। এবার প্রচুর বৃষ্টি ঝরানোর মধ্য দিয়ে কিন্তু বর্ষার আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের সব বিভাগেই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামী ৫ দিনের মধ্যে বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।