করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব আজ লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারীর ফলে জীবন জীবিকার পরিবর্তনের পাশাপাশি পরিবর্তন এসেছে সকল জীববৈচিত্র্যের গতিপথে।
অন্যদিকে প্রকৃতি ফিরেছে তার নিজস্ব রূপে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ পড়ে রয়েছে। ফলে সে সকল স্থানে মানুষের আরাগোনা নেই। পর্যটক না থাকায় খাদ্য ঘাটতিতেও পড়েছে অনেক প্রাণী।
যারা কিনা পর্যটকের খাবার খেয়ে জীবন ধারণ করত। এরই মধ্যে ঘটে গেল এক অন্য রকম ঘটনা। আর তা হচ্ছে পর্যটকের আশায় সমুদ্রের তল থেকে প্রবাল তুলে আনছে ডলফিন।
অস্ট্রেলিয়ার ক্যুইন্সল্যান্ড টিন ক্যান বে-তে সমুদ্রের ধারে একটি ক্যাফে রয়েছে, নাম ‘বারনাক্লস ক্যাফে অ্যান্ড ডলফিন ফিডিং’।
নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এই ক্যাফেতে ডলফিনদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু করোনার অতিমারির জেরে ক্যাফে বন্ধ। ফলে বাইরের কেউ আসছেন না এখানে।
আর মানুষের অনুপস্থিতিতে যেন মন খারাপ ডলফিনগুলিরও। এই অবস্থায় তারা রোজ উপহার নিয়ে আসছে সমুদ্রের তল দেশ থেকে। যেন পর্যটকদের আবার তাদের কাছে ফিরে আসার আবেদন করছে।
ক্যাফেটির ফেসবুক পেজে কিছু ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি ডলফিন মুখে করে সমুদ্রের তলা থেকে প্রবাল, ঝিনুক, বোতল বা কাঠের কিছু জিনিস আনছে। এখন প্রতিদিনই এই ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন ওই সৈকতে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবীরা।
সেখানকার এক স্বেচ্ছাসেবী লিন ম্যাকফ্যারসন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২৯ বছর বয়সের একটি পুরুষ ডলফিন ‘মিস্টিক’ রোজ এই রকম অন্তত দশটি করে উপহার নিয়ে আসছে। কেউ তাকে এই কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়নি। কিন্তু সেই যেন এখন এই উপহারের বদলে কিছু খাবার পাওয়াটা অভ্যাস করে ফেলেছে’।
ফেসবুকে সোমবার এই পোস্ট হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এই পোস্টে দেড় হাজারের বেশি লাইক পেয়েছে। সেই সঙ্গে সমানে কমেন্ট পড়ছে। আর সেই সব মন্তব্যে ডলফিনগুলির প্রতি মানুষের ভালোবাসা প্রকাশ পাচ্ছে।