সরকার সারাদেশের মানুষকে জৈব গ্যাস ও সৌরশক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছে
বাংলাদেশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে জার্মানিসহ বেশ কিছু উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা সহায়তা করছে। সরকারও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহারে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকার সারা দেশের মানুষকে জৈব গ্যাস এবং সৌরশক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি জ্বালানি সাশ্রয়ে উদ্বুদ্ধ করছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি (এসইউ) ক্যাম্পাসে আইন বিভাগ এবং একশনএইড আয়োজিত বাংলাদেশে অভিযোজনের জন্য ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং নবায়নযোগ্য শক্তি: টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্যারিস চুক্তিকে সংযুক্ত করা’ শীর্ষক দুই পর্বের কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মো. আবুল বাশার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. আল-আমিন মোল্লা, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন এম এ মাবুদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন মো. আলমগীর হোসেন, বিজনেস অনুষদের ডিন আবুল কালাম, রেজিস্ট্রার এস এম নূরুল হুদা, এসইউর ছাত্র কল্যাণ বিভাগের পরিচালক কাজী জুলকারনাইন সুলতান আলম।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসইউর আইন বিভাগের প্রভাষক মো. সাগর হোসাইন। অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো. দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া।
উপাচার্য মো. আবুল বাশার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন পুরো বিশ্বের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। এ ধরনের কর্মশালা আয়োজন জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার প্রতি শুধু আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের ওপর জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাব ও পরিবেশগত ক্ষতি মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণেও সাহায্য করবে।’
কোষাধ্যক্ষ মো. আল-আমিন মোল্লা বলেন, পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি সেমিনার, কর্মশালার আয়োজন করছে। এটা বেশ ভালো দিক।
কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন এম এ মাবুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে যেসব প্রভাব পড়বে, তা থেকে মুক্তি পেতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
সভাপতি মো. দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, এটা খুব উচ্চ আশাবাদের কর্মশালা। দ্বিতীয় পর্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মো. সাগর হোসাইন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন এবং নবায়নযোগ্য শক্তির প্রভাব ও প্যারিস চুক্তির সঙ্গে এর সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত তথ্য–উপাত্ত তুলে ধরেন।