মধুমতি নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে গোবরা ইউনিয়নের চরগোবরা গ্রাম। অব্যাহত নদীভাঙনে গত কয়েকদিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ৪০ থেকে ৫০টি বসতবাড়ি, একটি পাকা মন্দির, শতাধিক বিঘা ফসলি জমি ও নানান প্রজাতির গাছপালা। নদীভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে গোপালগঞ্জ-খুলনা সড়ক। এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে যে কোনো সময় গোপালগঞ্জ- খুলনা মহাসড়ক ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে, ঢাকা-খুলনা ও গোপালগঞ্জ-খুলনা রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। নদীভাঙনের আতঙ্কে রাত্রীযাপন করছেন নদীপাড়ের হাজার হাজার মানুষ। রাতের ঘুম আর দিনের কর্ম হারাম করে দিয়েছে ওই এলাকার সর্বস্তরের মানুষের। তারা বলছেন, শত বছরের অব্যাহত নদীভাঙনে এর আগে এ এলাকার অসংখ্য ঘরবাড়ি-ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষগুলো বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ঘরবাড়ি উঠিয়ে কোনোভাবে জীবন-যাপন করছেন। ভাঙন কবলিত এলাকা সরজমিন পরিদর্শনকালে গোবরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চৌধুরী শফিকুর রহমান টুটুল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রায় পনেরো দিন আগে ইউনিয়নের চর গোবরা এলাকার নদীভাঙন নিয়ে আমার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এর ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্যসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙন রোধের আশ্বাস দিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেছেন, দীর্ঘ মেয়াদি নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙন প্রতিরোধের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।