প্রকৃতি তার আপন রূপে সেজেছে
করোনা অতিমারিতে মানুষ যখন বিপর্যস্ত তখন প্রাণ ফিরে পেয়েছে প্রকৃতি। পরিবেশবিদরা বলছেন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালাতে গিয়ে মানুষই পরিবেশের ক্ষতি করছে। লকডাউন মানুষকে প্রাণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে।
জীব বৈচিত্র্য ধংস হলে ভারসাম্য হারাবে পরিবেশ, বিরাট ক্ষতির মুখে পড়বে মানবজাতি। করোনার মত মহামারি তার বড় দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা।
তাদের গবেষণা বলছে, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালাতে গিয়ে মানুষই পরিবেশের ক্ষতি করছে। বেড়েই চলেছে গ্রিন হাউজ গ্যাস নি:সরণ। তাতে বাড়ছে তাপমাত্রা এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, ভূমিধ্বসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দিচ্ছে বার বার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশ চক্র বজায় রাখতে জীবজগতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কোন একটি প্রজাতি ধংস হলে মানুষের জন্য তা হুমকি। তাই পরিবেশ রক্ষায় এখনই সচেতন হওয়ার তাগিদ দেন তারা। বেশি করে বৃক্ষ রোপন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ জোরদার করেছে সরকার।
করোনা অতিমারিতে প্রকৃতি সংরক্ষণের যে উপলব্ধি মানুষের হয়েছে, তা যাতে আগামীতেও অব্যাহত থাকে সেজন্য বছর জুড়ে কর্মসূচি নেয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।