পাহাড় কেটে ন্যাড়া করা হচ্ছে চট্টগ্রাম শহর: সিটি মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড় কেটে চট্টগ্রাম শহরকে ন্যাড়া করে দেয়া হচ্ছে। চুপ করে থাকছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বায়েজিদ লিংক রোডে রাত-দিন পাহাড় কাটা হচ্ছে অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর নোটিশ দিয়েই চুপ। নোটিশ দিয়ে পাহাড় কাটা বন্ধ হয় না।’
পাহাড় কেটে চট্টগ্রাম শহরকে ন্যাড়া করে দেয়া হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর চুপ থাকছে বলে অভিযোগ করেছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
শহরের টাইগারপাসে সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয় সভায় মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মেয়র বলেন, পাহাড় কেটে চট্টগ্রাম শহরকে ন্যাড়া করে দেয়া হচ্ছে। চুপ করে থাকছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বায়েজিদ লিংক রোডে রাত-দিন পাহাড় কাটা হচ্ছে অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর নোটিশ দিয়েই চুপ। নোটিশ দিয়ে পাহাড় কাটা বন্ধ হয় না।
ঠান্ডাছড়িতে সিটি করপোরেশনের পাহাড়বেষ্টিত লেকের পাশে একটি প্রতিষ্ঠান কেমিক্যাল কারখানা করেছে। পরিবেশ ধ্বংস করে যেখানে কিছু করা নিষেধ, সেখানে পরিবেশ অধিদপ্তর কীভাবে কারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেয়।
রেজাউল আরো বলেন, ‘এই কারখানার কারণে লেকের পানি শুকিয়ে মাছ মারা যাচ্ছে। কারখানার শব্দে আশপাশের পশু-পাখিও চলে গেছে। নতুন করে এখন পাহাড়ও কাটা হচ্ছে।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক।
সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ২০২১ সালে চট্টগ্রাম মহানগরে পাহাড় কাটায় ১৬৬ জনকে আইনের আওতায় এনেছি। যার মধ্যে ১৩৭টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছি। বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। যখনই পাহাড় কাটার খবর পাই, তখনই ব্যবস্থা নিয়েছি।
‘যেহেতু মেয়র ঠান্ডাছড়িতে একটি কারখানার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটা ও পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ এনেছেন তাই আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। তবে কারখানার অনুমোদনের বিষয়টি আমার জানা নেই।’
সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহুরুল আলম দোভাষ বলেন, ‘কর্ণফুলী রক্ষায় পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আমি পরিবেশ অধিদপ্তরকে কঠোর অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানাই। এ ছাড়া তারা যেন যে ড্রেনগুলোর কাজ শেষ হয়েছে, সেগুলো সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেয়।’
প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থার প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলী জানান, মেগা প্রকল্পের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমের মধ্যে নগরের ১৮-২০টি খালের কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। ৪২টি সিলট্রেপ স্থাপনের কাজ চলছে। সব ঝুঁকিপূর্ণ ড্রেনের ওপর স্ল্যাব বসানো হবে। উন্মুক্ত খালগুলোয় দুই ফুট উঁচু রেলিং করা হবে।