নদীরক্ষায় ১ বছরের আল্টিমেটাম দিলো মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী
ঢাকার চারপাশের নদীরক্ষায় এবং নদীর পানি দূষণ মুক্ত করতে এক বছরের আল্টিমেটাম দিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী।
গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন তুরাগের সংযোগ খালের দূষণ সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
মঞ্জুর আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা করা। সোনার বাংলার নদী এমন দূষিত হতে পারে না।
নদী বা জলাশয় সংশ্লিষ্ট যে কয়েকটি সংস্থা আছে, আগামী এক বছরের মধ্যে সবাই মিলে একটা কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আগের দিন যদি পানির অবস্থা এমন থাকে। তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঢাকার চারপাশে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী রয়েছে। এই নদীগুলোর পানি আজকে দূষণে বিষাক্ত হয়ে গেছে।
এখন নদীকে নদী বলতে পারি না, এটাকে বলতে হয় বিষাক্ত জলস্রোত। এখানে কেউ সাঁতার কাটতে পারে না। কেউ গোসল করতে পারে না। তীব্র দুর্গন্ধে নদীর পাড় দিয়ে হাঁটা যায় না। কিন্তু যারা দূষণ করছেন তারা সব সময় আড়ালে থেকে যাচ্ছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু এটা এখন মরণ হয়ে দেখা দিয়েছে। সারা দেশের নদী রক্ষায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আদালত বলেছেন, নদী হচ্ছে জীবন্ত সত্তা। এই নদীকে বাঁচাতে আমরা কাজ করব। এর জন্য যত রকমের অ্যাকশনে যাওয়া দরকার, আমরা সেখানে যাব।’
এ সময় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আসাদুল হক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সহকারী নগর-পরিকল্পনাবিদ রেমন আহমেদ আসিফ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উপপ্রধান এম এম মহিউদ্দিন কবীর মাহিন প্রমুখ।