জলবায়ু পরিবর্তন আনতে শিল্পের শক্তি দেখলো ঢাকা আর্ট সামিট
ঢাকা আর্ট সামিটের (ডিএএস) সপ্তম দিনে উপকূলীয় নারী কৃষকদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাক্ষ্য এবং পরিবর্তন আনতে শিল্পের শক্তি দেখা দিলো রাজধানী ঢাকায়।
বাংলাদেশি-আমেরিকান শিল্পী মনিকা জাহান বোসের চলচ্চিত্রে এই দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হলো দর্শকরা। মহাজাগতিক, কমিক এবং আবহাওয়ার ঘটনাগুলোকে একত্রিত করে ভবিষ্যৎ এবং জাগতিকের সঙ্গেও পরিচিত হলেন তারা।
বাংলাদেশে শিল্পকর্ম প্রদর্শনী বিষয়ক ও চিত্রকলার অন্যতম বড় এই আয়োজনে সোমবার ছিল শেষদিন। এদিন বিকালে কবির আহমেদ মাসুম চিশতীর শৈল্পিক উপস্থাপনায় ‘খুব ছোট অনুভূতি’ দেখেন দর্শকরা।
এতে সামনে আসে— বন্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার জন্মের চারপাশে নতুন পৌরাণিক কাহিনী এবং রূপান্তর বিকশিত হয়। মহাজাগতিক, কমিক ও আবহাওয়ার ঘটনাগুলো ভবিষ্যৎ এবং জাগতিকের বিভিন্ন রেজিস্টার্সে বন্যা এম্বেড করে।
এদিন সন্ধ্যায় মনিকা জাহান বোসের সঙ্গে ৩০ মিনিটের আলোচনার পরে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ফিল্মটি ওয়াশিংটন ডিসির স্বল্প-আয়ের অ্যানাকোস্টিয়া এলাকা থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম সারিতে অবস্থিত একটি প্রত্যন্ত বাংলাদেশি দ্বীপ বারোবাইশদিয়া পর্যন্ত জলবায়ু বিচার শিল্প প্রকল্প অনুসরণ করে।
বাংলাদেশি-আমেরিকান শিল্পী মনিকা জাহান বোস এক ডজন মহিলা কৃষক এবং ২০০ জনেরও বেশি ওয়াশিংটনবাসীকে ৬৫টি জলবায়ু-থিমযুক্ত শাড়ি তৈরি করতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
যা ওয়াশিংটনের পাঁচটি বিল্ডিংকে মোড়ানো। যখন তারা শাড়িতে কাজ করেন, অংশগ্রহণকারীরা কবিতা আবৃত্তি করে, গান করে এবং নাচ করে, একটি আন্তসীমান্ত সম্প্রদায় তৈরি করে।
চলচ্চিত্রটিতে বিরল ফুটেজ এবং উপকূলীয় নারী কৃষকদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাক্ষ্য এবং পরিবর্তন আনতে শিল্পের শক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে স্মিথসোনিয়ানের সঙ্গে একটি যৌথ ইভেন্টে প্রিমিয়ার হয়েছিল।
বিশ্বের নানা প্রান্তের প্রতিষ্ঠিত ও প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের বৈচিত্র্যময় শিল্পগুলো দর্শনার্থীদের দেখার সুযোগ করে দিতে ২০১২ সাল থেকে ঢাকা আর্ট সামিট হচ্ছে।
এর আয়োজন করে আসছে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রতি দুই বছরে আর্ট সামিটের আয়োজন করে থাকে।
এবারের ষষ্ঠ সংস্করণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিবেচনায় প্রথমবারের মতো বাংলা প্রতিপাদ্য ‘বন্যা’ ঠিক করা হয়েছে। এতে অংশ নিচ্ছেন দেশি-বিদেশি ১৬০ জনের বেশি শিল্পী।
তাদের শিল্পকর্মে জলবায়ু পরিবর্তন, লৈঙ্গিক সম্পর্ক, বিভিন্ন প্রজন্মের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ফুটে উঠছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত এই আসর।