জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কঠিন পানি সংকটের মুখে গোটা বিশ্ব
ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও ত্বরান্বিত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অভূতপূর্ব পানি সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্ব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সংকট আরও প্রকট হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নতুন একটি গবেষণা অনুসারে, বর্তমানে প্রতি বছর বিশ্বের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ পানির জন্য অত্যন্ত উচ্চ চাপের সম্মুখীন হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে আরও ১০০ কোটি মানুষ এ চাপে যুক্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পানি নিয়ে অত্যন্ত উচ্চ চাপের অর্থ হলো দেশগুলো তাদের কাছে থাকা পানির প্রায় পুরোটা ব্যবহার করছে। ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের (ডব্লিউআরআই) অ্যাকুয়াডাক্ট ওয়াটার রিস্ক অ্যাটলাস নামের এ প্রতিবেদনটি চার বছর পরপর প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বৈশ্বিক জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করা ২৫টি দেশ প্রতি বছর পানির জন্য অত্যন্ত উচ্চ চাপের সম্মুখীন হয়। এর মধ্যে বাহরাইন, সাইপ্রাস, কুয়েত, লেবানন ও ওমান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি স্বল্পমেয়াদি খরা দেশগুলোকে পানিশূন্য হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
ডব্লিউআরআইর ওয়াটার প্রোগ্রামের অ্যাকুয়াডাক্ট ডাটা লিড ও গবেষণাটির সহযোগী সামান্থা কুজমা বলেন, পানি তর্কযোগ্যভাবে পৃথিবীতে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তবুও আমরা এটিকে টেকসই পদ্ধতিতে পরিচালনা করছি না।
বিশ্বব্যাপী ১৯৬০ সাল থেকে পানির চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। এটি ২০৫০ সালের মধ্যে আরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়বে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও কৃষির মতো শিল্পসহ টেকসই নয়, এমন পানি ব্যবহারে নীতি এবং অবকাঠামোতে বিনিয়োগের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে পানির চাহিদা বাড়ছে।