জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য দায়ী বায়ুদূষণও
সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বায়ুদূষণও দায়ী। কিন্তু দেশে বায়ু দূষণ কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিক এর যৌথ আয়োজনে ‘বায়ুদূষণ কমাতে দ্বৈতনীতির পরিহার জরুরি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। এ সময় বায়ু দূষণ কমাতে চার দফা সুপারিশও করা হয়।
তাপপ্রবাহের জন্য বায়ুদূষণকে দায়ী করে ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘ধুলিকণা এবং দূষিত গ্যাসের তাপ শোষণ করার ক্ষমতা থাকার কারণে বর্তমানে অত্যাধিক দূষিত ধুলিকণা এবং গ্যাসীয় পদার্থগুলো সূর্যের তাপমাত্রাকে শোষণ করে তাপ প্রবাহ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে।
পাশাপাশি সালাফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সসাইড, কার্বন মনো অক্সাসাইড, কার্বন ডাই অক্সসাইড তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। সুতরাং তাপমাত্রার বৃদ্ধি কমাতে বায়ু দূষণ কমানো জরুরি।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) শরীফ জামিল বলেন, ‘দেশে চলমান তাপপ্রবাহের জন্য যে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে, তার জন্য বায়ু দূষণও দায়ী।
দূষণের জন্য আন্তর্জাতিক যে মানমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি বাড়িয়ে বাংলাদেশে নতুন মানমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পিএম ২.৫ প্রতি ঘন মিটারে ১০ মাইক্রোগ্রাম থেকে কমিয়ে ৫ মাইক্রোগ্রাম করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচারের সহ-সভাপতি এবং স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক ও ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, বারসিক-এর সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ক্যাপস-এর গবেষক মো. নাছির আহম্মেদ পাটোয়ারী।