ক্রমশ বেড়েই চলেছে চুল্লির ব্যবহার, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আমতলী এলাকায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। চুল্লির ধোঁয়ায় লোকজনের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে।
বড় বড় চারটি চুল্লিতে পোড়ানো হচ্ছে এই কাঠ। এসব চুলা থেকে বের হচ্ছে কালো ধোঁয়া। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। চুল্লির ধোঁয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আশপাশের মানুষ। উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের আমতলী এলাকায় কয়লা তৈরির জন্য এসব চুল্লি নির্মাণ করা হয়েছে।
বিশেষভাবে তৈরি চারটি চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে সেগুলো থেকে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। স্থানীয় মিলন মিয়া নামের এক ব্যক্তি এই কয়লা উৎপাদন কারখানা গড়ে তোলেন প্রায় চার বছর আগে। চুল্লির আশপাশে শত শত বস্তায় ভরে রাখা হয়েছে কাঠ পুড়িয়ে পাওয়া কয়লা। এগুলো বাজারজাতের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে চুল্লির আশপাশে বিপুল পরিমাণ কাঠ স্তূপ করে রাখা। মানুষের দৃষ্টি থেকে আড়াল করতে বড় বড় তেরপল দিয়ে চুল্লিগুলো ঢেকে রাখা হয়েছে। মাটি ও ইট দিয়ে তৈরি চুল্লিগুলোর প্রতিটির ব্যাস ১০ ফুট। ভূমি থেকে এসব চুল্লির উচ্চতা ১২ ফুট।
জানা গেছে, এসব চুল্লিতে একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে শুকনা কাঠ প্রবেশ করিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। একবার চুল্লিতে কাঠ প্রবেশ করানোর সপ্তাহখানেক পর সেটির মুখ খোলা হয়।
এসব চুল্লি থেকে পাওয়া কয়লাগুলো বস্তাবন্দী করে মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা প্রতি বস্তা বিক্রি করা হয়। উৎপাদিত কয়লা বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ইটভাটায় বিক্রি করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, মিলন মিয়া নিজের জমিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কারখানা গড়েছেন। চুলা জ্বালানোর পর সেখান থেকে বের হওয়া ধোঁয়া বাতাসে ছড়িয়ে পড়লে লোকজনের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এসব চুলা বন্ধ করতে বললেও তিনি তা শোনেন না।
মিলন মিয়া বলেন, ‘পরিবেশের ক্ষতি যাতে না হয়, সেভাবে কয়লা উৎপাদন করা হচ্ছে। ওপরে টিনের ছাউনি দিয়ে এর ধোঁয়া বাইরে যেতে দিচ্ছি না। ফলে এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে না।’
কাপাসিয়ার ইউএনও এ কে এম গোলাম মোরশেদ খান বলেন, ‘এভাবে কয়লা উৎপাদন সম্পূর্ণ অবৈধ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি কয়লা উৎপাদন কারখানা বন্ধ করেছি। এটিও বন্ধ করা হবে।’