37 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
বিকাল ৫:০৫ | ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
কার্বন দূষণ কমাতে নিতে হবে সৃজনশীল সমাধানসূত্র
পরিবেশ দূষণ

কার্বন দূষণ কমাতে নিতে হবে সৃজনশীল সমাধানসূত্র

কার্বন দূষণ কমাতে নিতে হবে সৃজনশীল সমাধানসূত্র

সিমেন্টের মতো দূষণকারী শিল্পে কার্বনের মাত্রা কমাতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাওয়া সম্ভব৷ প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাজার ও সরকারের ভূমিকাও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ৷



একমাত্র বড় আকারে কার্বনের বিকল্প নিশ্চিত করতে পারলে তবেই লাভ হবে৷ একটি শিল্পশাখা এ ক্ষেত্রে সেরা ভূমিকা পালন করতে পারে৷ সেটি হলো সিমেন্ট৷ গোটা বিশ্বের কার্বন নির্গমনের আট শতাংশের জন্য এই শিল্পশাখা দায়ী৷

কেমিকাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গ্যোর্গে ডেয়ারব্যার্গ মনে করেন, ‘রাসায়নিক কারণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন না করে সিমেন্ট উৎপাদন সম্ভব নয়৷ এই শিল্পশাখাকে নির্গমন করতেই হয়৷’

ক্রিস স্টার্ন একজন সিমেন্ট বিশেষজ্ঞ৷ তিনি কার্বনহীন কংক্রিট তৈরির এক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছেন৷ সিমেন্টের বদলে ইস্পাত শিল্পের উপজাত পণ্য হিসেবে স্টিল স্ল্যাগ ব্যবহার করছেন তিনি৷ ক্রিস অত্যন্ত উদ্যমী মানুষ৷ ক্রিস বলেন, ‘কাউকে যদি ঠিকমতো এই কাজ করতে হয়, সেটা আমি হবো না কেন? সিমেন্ট থেকে কার্বন দূর করার চেষ্টা না করে আমরা সিমেন্টের বিকল্প কাজে লাগিয়ে এক প্রক্রিয়া সৃষ্টি করেছি৷’

কার্বিক্রিট কোম্পানি শিল্পক্ষেত্রে গ্যাস সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কেনে৷ তারা শিল্পক্ষেত্রে নির্গত গ্যাস সংগ্রহ করে বিশুদ্ধ করে৷ তার কোম্পানি আসলে সেই প্রযুক্তি বিক্রি করে৷

তিনি ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মিলে ‘সিওটু কিউরিং’ নামের প্রক্রিয়া সৃষ্টি করেন৷ এর আওতায় একটি আধারের মধ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড প্রবেশ করানো হয়৷ সেটি স্টিল স্ল্যাগের সংস্পর্শে এসে স্থিতিশীল ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে পরিণত হয়৷

প্রশ্ন হলো, এভাবে ঠিক কত পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড সাশ্রয় হচ্ছে? ক্রিস স্টার্ন বলেন, ‘সিমেন্ট ব্যবহার না করে আমরা দুই কিলো সিওটু নির্গমন এড়াতে পারছি৷



তাছাড়া কংক্রিট ব্লকের মধ্যে আমরা এক কিলো পর্যন্ত সিওটু পুঁতে দিতে পারি৷ অর্থাৎ ১৮ কিলো ব্লকের মধ্যে সব মিলিয়ে প্রায় তিন কিলোগ্রাম কার্বন দূর করা সম্ভব৷ এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করে আমরা লাখ লাখ টন কার্বন দূর করতে পারি৷ ব্যস, আর কিছু নয়৷’

বর্তমানে সারা বছর গোটা বিশ্বে প্রায় ২৩ কোটি টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয়৷ তবে এখনো পর্যন্ত আমরা মাত্র চার কোটি টন সংগ্রহ করতে পারি৷ এর মধ্যে ৭০ শতাংশ উত্তর অ্যামেরিকায় করা হয়৷ কেমিকাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গ্যোর্গে ডেয়ারব্যার্গ বলেন,

‘জীবাশ্মভিত্তিক উৎসের বিকল্প হিসেবে আমরা বাতাস থেকে রিসাইকেল করা কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করতে পারি, তাহলে ৫০ শতাংশ কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে পারবো৷’

তবে সিসিইউ বাজার এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ প্রযুক্তি ও অবকাঠামোয় অনেক অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে৷ এই ক্ষেত্রের সম্ভাবনা সম্পর্কে কোনে মতপার্থক্য নেই৷ ম্যাককিনজি নামের কনসাল্টিং কোম্পানির ধারণা, ২০৩০ সালে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ভিত্তিক পণ্যের বাজার ৮০ হাজার কোটি থেকে এক লাখ কোটি ডলার মাত্রা ছোঁবে৷

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত