অবৈধ ইটভাটার তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
ঢাকা ও এর আশপাশের ৫ জেলায় থাকা অবৈধ ইটভাটার তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। অপর চারটি জেলা হচ্ছে গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ।
ঢাকায় দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ও অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে গত ৩০ জানুয়ারি সম্পূরক ওই আবেদন করা হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী আমাতুল করীম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ এবং ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে আইনজীবী মুনীরুজ্জামান শুনানিতে ছিলেন।
এইচআরপিবির করা এক রিটের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বায়ুদূষণ রোধে ঢাকা শহরের প্রবেশমুখ গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ছিটানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন।
শুনানিতে আইনজীবী মুনীরুজ্জামান বলেন, ফায়ার সার্ভিস আদালতের আদেশ অনুসারে প্রায় নিয়মিত পানি ছিটায়। তবে ধুলা সরিয়ে পানি ছিটানোর উপযুক্ত যন্ত্রপাতি তাদের নেই। তাই পাইপ দিয়ে পানি ছিটানো হয়।
অন্যদিকে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করাসহ ইতিপূর্বে আদালত কয়েক দফা নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, পাঁচ জেলার অবৈধ ইটভাটার তালিকা আদালতে দাখিলের পাশাপাশি পাঁচ জেলার জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভার্চ্যুয়ালি আদালতে যুক্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনেকবার আদেশ দিলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না, এ অবস্থায় আদালত বসে থাকতে পারেন না বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট।