মোঃ রাজিবুল ইসলাম (রাজিব): কালবৈশাখী ঝড়ে নড়াইলে পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় একমাস আগে থেকে পাটের বীজ বপন শুরু হয়েছে। পাঠগাছগুলোর বেশ টগবগিয়েই লাফিয়ে লাফিয়ে বড় হওয়ার পথে ছিলো। আর এই মধ্যে কালবৈশাখীর থাবা। গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় এবছর নড়াইলে পাট চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকই গত বছরের তুলনায় বেশি পাট চাষ করেছে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার ঝড় ও একই সাথে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
অন্যান্য ফসলের মতোই পাট চাষে শ্রম দিতে হয়। কিন্তু অন্যান্য ফসলের তুলনায় পাট চাষ থেকে শুরু করে পাট ঘরে তোলা পর্যন্ত অনেকটা সময় লেগে যায়। আর তে শ্রম ও অর্থ মোটামুটি অন্যান্য ফসলের তুলনায় একটু বেশি লাগে। কিন্তু পাটের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক পাট চাষে আগ্রহী হয়ে এবছর আগের তুলনায় বেশি জমিতে পাট চাষ করে।
গতকাল ঝড়ের পরে দেখা যায় পাটগাছগুলো নুয়ে আছে মাটিতে। মোটামুটি সদ্য ফোটা বীজ থেকে শুরু করে এক থেকে দেড় ফিটের মতো লম্বা হয়েছে পাটগাছগুলো। সেই পাটগাছ গুলোই আজ শুয়ে আছে মাটিতে। জমির সীমানায় গেলেই হতাশায় নিশ্বাস নিচ্ছে কৃষক।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ১নং বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কৃষক মোঃ মঞ্জুর হোসেন মোল্যা গ্রীনপেজের প্রতিনিধিকে বলেন, “গতকালের কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের পাটগাছগুলো মাটিতে শুয়ে আছে। কিছু কিছু পাট ক্ষেতে পানি বেধে গেছে ।” তিনি আরো জানান, হয়তো নতুন করে আবার পাটের বীজ বপন করতে হবে। অনেক পরিশ্রম আর টাকা খচর করে পাট চাষ করেছেন। এমন অবস্থায় কি করবেন এটাই ভেবে পাচ্ছেন না তিনি।
গত বৃহস্প্রতিবার থেকে শুরু হওয়া শিলাবৃষ্টি আর কালবৈশাখীর ছোবলে অনেক জমিন পাট মাটিতে পড়ে আছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কিছু কিছু জমির মধ্যে পানি জমে আছে।