কানিজ ফাতিমা: দেশের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখীর আঘাতে লন্ডভন্ড কৃষকের ফসলের ক্ষেত ও আমবাগান। দেশে এখন আমের মৌসুম। অনেক স্থানে আর কিছু দিন পরেই আম ভাঙ্গা হবে। গত বছর মোটামুটি রমজান মাসের শেষের দিকেই গাছ পাকা আম দেখা গিয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় এবছর রজমান মাসে আম দেখা যাবে কি না এবিষয়ে এখনো জানা যাচ্ছে না। তবে কিছু দিনের মধ্যে বিভিন্ন এলাকার লিচু ভাঙ্গা হবে বলে জানা যাচ্ছে। যশোরের মেহেপুরের কিছু লিচু চাষীর কাছ থেকে জানা যায় তারা হয়তো আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে লিচু ভাঙ্গা শুরু করে বাজারজাত শুরু করবে।
গত কয়েকদিন ধরেই দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে কালবৈশাখী ঝড়। কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে সাথে কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে শিলাবৃষ্টিও। এবছর সারা দেশে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একই সাথে আম ও লিচুর ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু কালবৈশাখীর ছোবলে গত কয়েকদিনে চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে হানা দেয় কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ে আমগাছের নিচে প্রচুর পরিমানে আম পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিশেষ করে নড়াইল, বাগেরহাট, লক্ষ্মীপুর, বেগমগঞ্জ, চৌমুহনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হানা দেয় কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সময়ের ব্যবধান রেখে বিভিন্ন এলাকার আম পেকে থাকে। আবার কিছু আম আছে যা আগতি পেকে যায়। সব মিলিয়ে আম এখনো ভাঙ্গার মতো অবস্থায় আসেনি। আর এমন অবস্থায় কালবৈশাখী ঝড় আম চাষীদের অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
গ্রামের প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই ফলের গাছ লাগানো হয়। বিশেষ করে আম গাছ তো থাকবেই। কিন্তু গতকালের ঝড়ে গ্রামের সেই আম গাছগুলোর অধিকাংশ আম ঝড়ে পড়ে গিয়েছে।