ময়মনসিংহের নান্দাইলে দেখা দিয়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রাদুর্ভাব। এই মুহূর্তে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজের কোনো ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সম্প্রতি দেখো দিয়েছে এই লাম্পি স্কিন ডিজিজ। নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের সুরাটি গ্রামের এক ব্যক্তির ২টি দুধের গাভিসহ এই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের আরো ৫০টিরও বেশি গবাদিপশু আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে। প্রাণি হাসপাতালে গিয়ে গবাদিপশুর এ রোগের কোন সটিক চিকিৎসা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই ।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ এর লক্ষণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, এটি এক ধরণের পক্স ভাইরাস বা এলএসডি ভাইরাস দ্বারা গবাদিপশু আক্রান্ত হয়। এটিতে মূলত এক গুরু থেকে অন্য গুরু আক্রন্ত হয়। আক্রন্ত হলে প্রথমে জ্বর দেখা দেয়। পরে গুরুর খাবারের প্রতি রুচি কমে আসে।
মুখ এবং নাক দিয়ে লালা ঝরতে শুরু করে। গরুর চামড়ায় পিন্ড আকৃতি ধারণ করে। পা ফুলে ওঠে। সামনের দুই পায়ের মাঝ স্থানে পানি জমে যায়। সারা শরীরে পশম ঝড়ে গিয়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। পিন্ডগুলো ফেটে ফেটে টুকরা মাংস বের হতে থাকে। একইসাথে পাকস্থলী অথবা মুখের ভেতরে ক্ষতের কারণে গরু পািনি পানে প্রকাশ করে অনিহা কমে আসে খাদ্য গ্রহণ।
প্রকৃতপক্ষে লাম্পি স্কিন ডিজিজের কোনো ভ্যাকসিন নেই। গবাদিপশুকে আপাতত ব্যাথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মলয়কান্তি মোদক।