নদী দূষণমুক্ত ও নাব্যতা বজায় রাখাসহ তীরের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় নদী দূষণ রোধে ও পানি ব্যবহারে যত্মবান হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে রাজধানীর পানি সরবরাহে ওয়াসার দুটি প্রকল্প উদ্বোধন ও একটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় নগরবাসীর কাছে নিরাপদ সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে ওয়াসাকে আরও উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দেন তিনি। এ সময় সুপেয় পানির জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহার করতে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরতা কমাতেও আহবান জানান।
রাজধানীবাসীর পানির চাহিদা মেটাতে পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার ফেজ-১, সাভার উপজেলার তেতুলঝরা ভাকুর্তা ওয়েলফিল্ড প্ল্যান্ট প্রথম পর্বের উদ্বোধন ও গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দুই প্রকল্প মিলিয়ে এখন ৬০ কোটি লিটার পানি বাড়ল রাজধানীবাসীর।
অন্যদিকে লৌহজং উপজেলার পদ্মা যশলদিয়া পানি শোধন প্ল্যান্টের মাধ্যমে গড়ে প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার শোধিত পদ্মা নদীর ওয়াটার আসবে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। এছাড়াও রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সাভারের তেতুলঝরা-ভাকুর্তা এলাকায় ওয়েলফিল্ড নির্মাণ প্রকল্প নির্মাণ করা হয় যা পানির অভাব দূর করবে।আর এই প্রকল্প থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫ কোটি লিটার পানি পাবে ঢাকাবাসী। সর্ব শেষ হিসাব অনুযায়ী দুই প্রকল্প মিলিয়ে এখন ৬০ কোটি লিটার পানি বাড়ল রাজধানীবাসীর।
পদ্মার পানি পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগারে নিয়ে সেখান থেকে পাইপের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানো হবে। ৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৫ সালের অক্টোবরে এ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এসময় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কাং-ইল, বাংলাদেশ নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান। অনুষ্ঠানের সকলের বিমেষ ভূমিকায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয় অনুষ্ঠান