চলতি বছরের আমাজনের অগ্নিকান্ড গত কয়েক বছরের তুলনায় ভয়াবহ অকার ধারন করেছিল।এতে লক্ষ লক্ষ গাছ পুড়ে ছাই হয়েছিল।পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর ২০ শতাংশ অক্সিজেন আসে এই আমাজন বন থেকে। অথচ লক্ষ লক্ষ গাছ পুড়ে ছাই হওয়াতে পৃথিবীতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে আসছে।বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, স্বর্ণের অবৈধ খননে ও কৃষিকাজের জন্য আমাজনে আগুন লেগেছে।কিন্তু সম্প্রতি জানা যায়, আমাজন বনের ভিতরে সয়াবিন চাষের কারনে আগুন লাগানো হয়।
যুক্তরাজ্যের সব বড় ফাস্ট ফুড চেইনকে সয়াবিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিল পরিবেশবাদী সংস্থা গ্রিনপিস। অন্তত যত দিন না ব্রাজিলের পরিবেশে উন্নতি হচ্ছে। এ সংস্থার প্রধান রিচার্ড জর্জের মতে, ‘প্রতিটি বড় ফাস্ট ফুড সংস্থা তাদের পশুদের খাবারের জন্য সয়াবিন ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু তারা কেউই জানে না, এই সয়াবিন কোথা থেকে আসছে। তারা এও জানে না, সারা বিশ্বে অরণ্য ধ্বংসের পেছনে প্রধান কারণ সয়াবিনের চাষ।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ব্যাবসায়িক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৩৯ টন সয়াবিন আমদানি করা হয়েছিল ব্রাজিল থেকে।
পরিবেশবাদীদের দাবি, ব্রাজিলের আমাজন ও সেরাডোতে যে আগুন লেগেছে, তা ইচ্ছা করেই লাগানো হয়েছে; যাতে সেই জমিতে কৃষিকাজ (মূলত সয়াবিন চাষ) ও পশুপালন করা যায়।
২০০৬ সালে গ্রিনপিস ও অন্যান্য পরিবেশবাদী সংস্থার তরফে একটি যুগান্তকারী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, যেখানে আমাজনে নতুন করে সয়াবিন চাষে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এই চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বের বৃহৎ কৃষি ব্যবসায়ীরা স্থির করেছিলেন, নতুন তৈরি হওয়া কোনো ফার্মের কাছ থেকে তাঁরা কিছু কিনবেন না। এর ফলে সাময়িকভাবে আমাজন রেহাই পেলেও সমস্যায় পড়ে সেরাডোর বিস্তৃত ট্রপিকাল সাভানা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ম্যাকডোনাল্ডস, টেসকো, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারসসহ প্রায় ২৩টি সংস্থা সেরাডো ম্যানিফেস্টো সই করেছিল। এসবের একটাই উদ্দেশ্য ছিল। ভবিষ্যতে অরণ্যবিনাশ আটকানো।